বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি

  ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩

বদলগাছী

নতুন জাত পেঁয়াজ চাষে বাড়ছে আগ্রহ কৃষকের

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কেশাইল গ্রামে নতুন জাত নাসিক রেড এন-৫৩ চাষ।ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

পেঁয়াজের নতুন জাত নাসিক রেড এন-৫৩ চাষে আগ্রহ বাড়ছে নওগাঁর কৃষকের। খরচ কম, ভালো ফলন ও আশানুরূপ দাম পাওয়ায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। এতে আগামী মৌসুমে এ আবাদের চাষ বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

সরেজমিনে জেলার বদলগাছী উপজেলার কেশাইল গ্রামে গিয়ে কথা হয় কৃষক আব্দুল ছালামের সঙ্গে। তিনি জানান, ৮ শতাংশ জমিতে আবাদ করেছেন গ্রীষ্মকালীন নতুন জাতের পেঁয়াজ 'নাসিক এন-৫৩'। বীজ, সারসহ অন্যান্য উপকরণ দিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে। এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজে গুটি আসতে শুরু করেছে। আর এক মাসের মধ্যে বাজারে তুলতে পারবে বলে জানায় তিনি।

কেশাইল দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আরেক কৃষক রোস্তম আলী চঞ্চল বলেন, ‘আমি এবার ২২ শতক জমিতে নতুর এই জাতের পেঁয়াজ লাগিয়েছি। ২ মাসের মধ্যে প্রায় ৫৫-৬০ মণ পেঁয়াজ পেয়েছি। ইতিমধ্যে অনেক পেঁয়াজ পাইকারি ৬৫টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। ‘বিনামূল্যে বীজ ও সারসহ অন্যান্য উপকরণ কৃষি অফিস থেকে পেয়েছি। সামনে বার আরও বেশি জমিতে এই ধরনের পেঁয়াজ আবাদ করবো।


  • বিঘা প্রতি ৭০-৮০ মণ পেঁয়াজ হয়ে থাকে।
  • কৃষি বিভাগের আশা পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন জাত বড় ভূমিকা রাখবে।

বদলগাছী কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ও নাজমুল হক বলেন, আমরা কৃষকদের বীজের সঙ্গে ডিএপি ২০ কেজি, পটাশ ২০ কেজি দিয়েছি। এছাড়া অন্যান্য উপকরণসহ পরামর্শমূলক সহযোগীতা সবসময় করছি। নাসিক ফিফটি ত্রি বা এন-৫৩ জাতের এই পেঁয়াজের এক কেজি বীজ দিয়ে এক বিঘা জমিতে চাষ করা যাবে। এর পরিচর্যা খরচও কম, সেটাও আমরা দিয়েছি। যদি ফলন ভালো হয় তাহলে ৭-৮ পেঁয়াজে এক কেজি হয়। এবং বিঘা প্রতি ৭০-৮০ মণ পেঁয়াজ হয়ে থাকে। এর পাতাও সবজি হিসেবে খাওয়া যাবে। এটি লাগানোর পর সর্ব্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে বাজারে তুলতে পারবে কৃষক। বলা যায়, এর ৯৫ শতাংশই লাভ কৃষকের। ফলে সংকট মূহুর্তে এই পেঁয়াজটি হতে পারে সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য। ভোক্তারা স্বাচ্ছ্যন্দে সাধ্যের মধ্যে কিনতে পারবেন মসলা জাতীয় এ পণ্যটি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবাব ফারহান বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ নাসিক এন-৫৩ জাতটি ভারতীয়। পেঁয়াজ সংকট দূর করার লক্ষ্যে কৃষকদেরকে অধিক ফলনশীল এই পেঁয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আমরা এই উপজেলায় ১৫০জন কৃষককে প্রণোদনা সহায়তা দিয়েছি। পরিচর্যার জন্য নগদ টাকাও দেওয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগ অধিক লাভজনক এই পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের সবধরণের পরামর্শ দেওয়ায় আবাদ আশানুরূপ ভালো হয়েছে। এরইমধ্যে জমি থেকে পেঁয়াজ তোলা শুরু করেছেন কৃষকেরা। বাজারদরও ভালো রয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এ আবাদের প্রতি কৃষকের আগ্রহও বাড়ছে। এবং কারিগরি সহযোগীতা পাওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর আবাদ। ফলে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাজার সহনীয় পর্যায়ে আসবে। আর কৃষকরা হবেন শতভাগ লাভবান।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নওগাঁ,বদলগাছী,নাসিক রেড এন-৫৩,পেঁয়াজ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close