রকিবুল হাসান বিশ্বাস, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)
সিংগাইরে ৮ ডাকাত গ্রেপ্তার, মালামাল আংশিক উদ্ধার
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত মালামাল ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে লুণ্ঠিত মালামাল নিজের কাছে রাখায় আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম।
এর আগে ১৯ নভেম্বর রাত ৩টার দিকে ৯-১০ জনের একটি ডাকাত উপজেলা ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা (হঠাৎপাড়া) গ্রামের সৌদি প্রবাসী জুয়েল রানার বাড়িতে ওই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জুয়েলের স্ত্রী মনি বেগম বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় অজ্ঞাতনামা ৯-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, ঢাকার ধামরাই থানার চৌঠাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া ওরফে সলিম খান (৪৮) ও খলিল মিয়া (৪০), সিংগাইর উপজেলার পূর্বভাকুম গ্রামের মালেক (২৬) ও আলেক হোসেন (২১), একই উপজেলার উত্তর জামশা গ্রামের সুমা আক্তার সুমী (২৫), চর দূর্গাপুর গ্রামের শামসুল ইসলাম (২৮), পূর্বভাকুম গ্রামের সুমন ফকির (২৫), কহিলাতলী গ্রামের মোক্তার হোসেন (৩৩), চরদূর্গাপুর গ্রামের সজিব মিয়া(২২) ও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থানার চর দৌলতপুর গ্রামের আয়ূব ওরফে আয়ূব মোল্লা (৩৪)।
- দশদিন আগে প্রবাসীর পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে ডাকাতি।
- এগিয়ে আসায় প্রতিবেশীকে কুপিয়ে জখম।
- প্রায় ৩৫ লাখ ১৮ হাজার টাকার মালামাল লুট।
- গ্রেপ্তারদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় বিচার চলছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনার রাতে উপজেলা গাজিন্দা (হঠাৎপাড়া) গ্রামের প্রবাসী জুয়েল রানার একতলা ভবনের চিলেকোঠা দিয়ে ঢুকে ডাকাত দল। পরে জুয়েলের স্ত্রী, ভাই, মা ও ভাগ্নিকে মারধর ও ধারালো অস্ত্রের মুখে লুটপাট চালায়। এ সময় ৩৩ ভরি স্বর্ণ, ১৪ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার, ২০ ভরির রূপার নূপুর, নগদ টাকা, সৌদি রিয়াল, মোবাইল ফোন, টিভি মিলিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ ১৮ হাজার টাকার মালামাল লুট হয়। এদিকে মোবাইল ফোনে বাড়ির লোকজনের কল পেয়ে প্রতিবেশী ফারুক এগিয়ে এলে তাকে কুপিয়ে জখম করে।
ওই ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রীর মামলা করার ৩ দিনের মধ্যেই তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিংগাইর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো তার ফোর্স নিয়ে ২৪ নভেম্বর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ডাকাতিতে জড়িত সেলিম মিয়া ওরফে সলিম খানকে গ্রেপ্তার করে। পরে রিমান্ডের তার দেওয়া তথ্যে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তার ও লুন্ঠিত মালামালের আংশিক উদ্ধার করা হয়।
সিংগাইর থানার ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম জানান, ডাকাতিতে জড়িত পলাতক অন্য ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে সলিম খান, খলিল মিয়া, সামসুল ইসলাম, মোক্তার হোসেন, সজিব মিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন আছে।
পিডিএস/আরডি