পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
আবু ছৈয়দ হত্যাকাণ্ড
চেয়ারম্যান জড়িত কি না খতিয়ে দেখার আদেশ
কক্সবাজারের পেকুয়ায় আবু ছৈয়দ হত্যায় মগনামার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত রবিবার (১৯ নভেম্বর) আবু ছৈয়দের ছেলে বাদী ছৈয়দ মো. ইমনের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জাহেদ হোসাইন শনিবার (২৫ নভেম্বর) এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. এমরান বলেন, ‘আবু ছৈয়দ হত্যার ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ পূর্বক ওয়াসিম জড়িত থাকার ব্যাপারে আমরা শতভাগ নিশ্চিত। বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে এ আদেশ দেন আদালত।’
আবেদনে বাদী ইমন উল্লেখ করেন, গত ১০ অক্টোবর ওয়াসিমের নির্দেশে ঘরে ঢুকে মামলার ২৪ আসামিসহ একদল অস্ত্রধারী আবু ছৈয়দকে কুপিয়ে ও বুকে গুলি করে হত্যা করে। এসময় তার ডান পা কেটে নিয়ে যায় আসামিরা। এর আগে ওয়াসিম মোবাইল ফোনে ও বিভিন্ন মাধ্যমে আবু ছৈয়দকে হত্যার হুমকি দেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
এদিকে গত বুধবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানাপুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয় মো. আনিস। পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনিসের স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে আনিস বলেন, ‘সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াসিমের নির্দেশে তারা আবু ছৈয়দকে হত্যা করেন। আর ওয়াসিমকে উপহার দেওয়ার জন্য আবু ছৈয়দের ডান পা কেটে নিয়ে যাওয়া হয়।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ইতোমধ্যে এ হত্যা মামলার তদন্ত অনেকদূর এগিয়েছে। এ মুহুর্তে আদালতের এ আদেশটি মাথায় রেখে তদন্ত করা হবে।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১০ অক্টোবর উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আফজালিয়া পাড়ার আবু ছৈয়দকে একদল অস্ত্রধারী কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। পরে ২৪ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় হত্যা মামলা করেন তার ছেলে ইমন। এ পর্যন্ত হত্যা মামলার ১২জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।
পিডিএস/আরডি