চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২৩ নভেম্বর, ২০২৩

রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন

ভুয়া নিয়োগপত্রে অর্থ-আত্মসাৎ

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সুপার মো. আবদুল মোনায়েম (বাতেন) এর বিরুদ্ধে। উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচগ্রাম এম হক বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা গেছে, মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মোনায়েম খারুয়ারপাড় এলাকার নুর ইসলামের ছেলে আবদুস সালামকে মাদ্রাসায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ৪ বছর যাবত হয়রানির শিকার হয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। এখন জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকের কাজ করছেন সালাম।

ভুক্তভোগী সালাম জানান, সুপার আবদুল মোনায়েম ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ একটি পত্রিকার বিজ্ঞাপন দেখিয়ে প্রথমে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী ও পরবর্তীতে সহকারী শিক্ষক (ব্যবসায় শিক্ষা) পদে নিয়োগের জন্য আবেদন নেন। তখন বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নেন আবদুল মোনায়েম। পরে পূর্বের তারিখ দেখিয়ে ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল তাকে সহকারী শিক্ষক (ব্যবসা)পদে নিয়োগপত্র দেন তিনি। নিয়োগপত্র অনুযায়ী অত্র মাদ্রাসায় স্বপদে যোগদান করেন সালাম। পরে প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান করাতে গেলে এমপিওতে নাম না আসা পর্যন্ত মাদ্রাসায় আসতে নিষেধ করেন ওই সুপার। পরে টাকা ফেরতের জন্য রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানান তিনি।

মাদ্রাসা সুপার আবদুল মোনায়েম এ বিষয়ে বলেন, ‘যার বিষয় তার সঙ্গে কথা হবে। আমি চাকরি দিতে চেয়েছিলাম। সে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছে। আমার কি করতে পারে করুক।’

রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু এ বিষয়ে বলেন, অনেক চেষ্টা করেও টাকা আদায় করতে না পারায় সালাম গ্রাম আদালতে অভিযোগ দেন। তার অভিযোগে সালিশে মাদ্রাসা সুপারকে অনেকবার নোটিশ দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুড়িগ্রাম,চিলমারী,ভূয়া নিয়োগপত্র,অর্থ আত্মসাত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close