আমবয়ানের মধ্য দিয়ে লালমনিরহাটে শুরু হয়েছে তিনদিনের জেলা ইজতেমা। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এর শুরু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা বাস্তবায়ন কমিটির সুরা সদস্য আব্দুল খালেক মাস্টার। শনিবার (১১ নভেম্বর) আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এই ইজতেমা শেষ হবে।

ইজতেমায় ইসলামী জীবন বিধান ও ধর্মের আলোকে বয়ান করছেন তাবলীগ জামাতের মুরব্বি ও দেশবরেণ্য পাঁচ আলেম। ইজতেমায় শুক্রবার (১০ নভেম্বর) জুমার নামাজে বিপুল পরিমাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করছেন আয়োজকেরা।

এদিকে মুসল্লিদের জন্য ইজতেমা প্রাঙ্গনে স্থাপন করা হয়েছে শতাধিক শৌচাগার এবং ২০০ গোসল ও অজুখানা। এছাড়া বাঁশ কাবারি দিয়ে ছামিয়ানা টানানোর জন্য মূল মাঠের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য যমুনা ক্লিনিক এবং লালমনিরহাট পৌর মেয়র রেজাউল করিম স্বপনের সহযোগিতায় অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে।

লালমনিরহাটের ইজতেমা মাঠে এবারে জেলার পাঁচ উপজেলা ও দুইটি পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের প্রায় ৫০ হাজার মুসল্লি অংশ নিবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে তাবলিগ জামাতের অনুসারী মুসলমানরা অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ইজতেমা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, জেলা ইজতেমা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, সে জন্য ইজতেমার নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে কর্মপন্থা সাজানো হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে জেলাকে নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা হয়েছে।

পিডিএস/আরডি