মো.আজাদ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা

  ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

পাসপোর্টের চাহিদা বেড়েছে, বাড়েনি জনবল 

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বিদেশগামীদের ভিড় বাড়ছে দিন দিন। প্রতিদিন শত শত মানুষ পাসপোর্টের জন্য অফিসে ভিড় করেন এখানে। কিন্তু অফিসটিতে চাহিদা অনুযায়ী বাড়েনি জনবল। ফলে পাসপোর্ট করতে আসা বিশাল জনগোষ্ঠীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। অবশ্য তাদের দাবি, সীমিত জনবল নিয়েই গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা।

অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি দালাল ও দুর্নীতি মুক্ত। এখানে পাসপোর্ট করতে আসা বিদেশগামীরা এমনটি জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষও বলছেন, চুয়াডাঙ্গায় এখন পাসপোর্ট করা খুব সহজ হয়েছে। এর আগে এখানে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার হতে হয়েছে গ্রাহকদের। এখন আর কোনো ঘুষ দেওয়া লাগে না। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতায় এটি সম্ভব হয়েছে।

সেবাগ্রহীতারাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তাদের দাবি, সেবার মান বাড়াতে আরও জনবল নিশ্চিত করা। জেলা শহরের বাবর আলী এমনটি জানিয়ে এ প্রতবেদককে আরও বলেন, “মালয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করতে এসেছি। আগে শুনতাম ‘দালাল না ধরলে পাসপোর্ট করা যায় না।’ কিন্তু অফিসে এসে দেখলাম উল্টো। কাজ করানোর জন্য কোথাও কোনো দালাল খুঁজে পায়নি। অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ডেকে ডেকে কাজ করে দিচ্ছেন।”

পাসপোর্ট করতে আসা জনৈক সুমন বলেন, ভোগান্তি ও দালাল ছাড়াই পাসপোর্ট করতে পেরেছি। শুনেছি চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিসে এখন দালাল ও ভোগান্তি ছাড়াই অতি সহজে পাসপোর্ট পাচ্ছেন সবাই। তাই আমিও চলে এসেছি পাসপোর্ট করতে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের চলতি দায়িত্বরত উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুস সাত্তার প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, তিনি ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা অফিসে যোগদান করেন। এরপর প্রতিমাসে কয়েক হাজার পাসপোর্টের কাজ করছেন। এখানকার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্তরিক। তাদের সহযোগিতায় কোনো ধরনের ঘুষ-অনিয়ম ছাড়াই গ্রাহকদের সকল ধরনের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এই অফিসে দৈনিক আবেদনের চাহিদা তিন থেকে চার শতাধিক । এখানে ছবি তোলা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ স্ক্যান করা হয় দুটি বুথে। আমাদের যা লোকবল তা দিয়ে দৈনিক ২০০টি আবেদনের কাজ করতে পারি। কিন্তু লোকবল সংকটের কারণে বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত সময় কাজ করে তিন থেকে চার শতাধিক আবেদন নিষ্পত্তি করতে হচ্ছে।

অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, আমাদের অফিসে জনবল সংকট। জনবল না বাড়ায় নতুন পাসপোর্ট, নবায়ন ও সংশোধনসহ বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক কাজ করতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। তবে তারা আশাবাদী, অচিরেই তাদের লোকবল সংকটের অবসান হবে।

পিডিএস/এইচএস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চুয়াডাঙ্গা,পাসপোর্ট অফিস
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close