এস এম রাফি, চিলমারী (কুড়িগ্রাম)

  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

বাঁচতে চায় স্কুল শিক্ষিকা মুন্নি

ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি মাহমুদা আক্তার মুন্নি

নিজের একমাত্র মেয়ে সন্তানের জন্য বাঁচতে চায় চিলমারীর এভাসকুলার নেক্রসিস (এভিএন) আক্রান্ত মাহমুদা আক্তার মুন্নি (৩২)।

দীর্ঘ এক মাস ধরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তিনি। এভাসকুলার নেক্রসিস (এভিএন) রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন করলে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে মুন্নি। শুধু হিপ জয়েন্ট অপারেশনের কথা থাকলেও বর্তমানে হাঁটু পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানায় তার চিকিৎসক। এমনিতেই দুটি হিপ জয়েন্টে বল প্রতিস্থাপন করতে অনেক টাকা প্রয়োজন। তার উপর হাঁটু পর্যন্ত হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবরে মুন্নি আরো ভেঙে পড়েছে। এতো টাকা কিভাবে জোগাড় হবে! এসব ভেবেই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে দিন যাচ্ছে তার। এদিকে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে মুন্নির শাশুড়ি মৃত্যুবরণ করায় কান্নায় ভেঙে পড়ে মুন্নি।

জানা গেছে, চিলমারী উপজেলাধীন থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ীহাট শিকার পাড়া এলাকার রিকশাচালক মঞ্জু মিয়ার মেয়ে মুন্নি। উচ্চশিক্ষা অর্জনের ইচ্ছা থাকলেও অর্থাভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি। সংসারের অভাব মিটাতে ২০০৭ সালে এইচএসসি পাস করা মুন্নি স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। বিয়ে হয় বজরাতবকপুর পুটিমারী এলাকার মমিনুল ইসলাম নামে এক যুবকের সঙ্গে। তাদের ১২ বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বেকার স্বামীর সংসারে থেকে কিন্ডার গার্টেন স্কুলে চাকরি করে যা আয় করেন তা দিয়ে কোনো রকমে তাদের সংসার চলে। দীর্ঘদিন পায়ে ব্যথা। তারপর সে ব্যথা কোমর পর্যন্ত উঠতে থাকে। ব্যথায় আস্তে আস্তে চলাফেরা বন্ধ হয়ে যায় মুন্নির। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারে এভাসকুলার নেক্রসিস (এভিএন) রোগে আক্রান্ত হয়েছে মুন্নি। অর্থাৎ দুটি হিপ জয়েন্টই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক দুটি বলসহ গোটা হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন করলে সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। আর এজন্য সবমিলে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার প্রয়োজন। রিকশাচালক গরিব বাবা ও বেকার স্বামীর পক্ষে এত টাকা জোগান দেয়া অসম্ভব।

মুন্নি জানান, বিভিন্ন বিত্তশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তিনি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের নবম তলায় ৯৩৭নং পেইং বেডে ভর্তি আছেন। সেখানে বেড ভাড়া দিতে হয় প্রতিদিন ৩২৫ টাকা। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা গেছে, শুধু হিপ জয়েন্ট নয় এখন দুই পায়ের হাঁটু পর্যন্ত হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা প্রতিস্থাপন করতে হবে। ১২ বছর বয়সের মেয়ে মিথিলার কথা ভেবে বাঁচতে চান মুন্নি। এজন্য তিনি বিত্তশালীদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।

পিডিএস/মীর

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
স্কুল শিক্ষিকা,মাহমুদা আক্তার মুন্নি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close