ফরিদপুর প্রতিনিধি :

  ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩

প্রতিদিনের সংবাদে সংবাদ প্রকাশ

অপসারণ করা হলো নদীর বুকে আড়াআড়ি সেই বাঁধ

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ।

অপসারণ করা হয়েছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মধুমতি নদীর বুকে আড়াআড়ি সেই অবৈধ বাঁধটি। মধুমতি নদীর এপাশ-ওপাশজুড়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার বাঁশের অবৈধ বাঁধটি অপসারণ করা হয়। এতে অভিযান পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে প্রায় দিন ব্যাপী উপজেলার বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা চায়না মিল সংলগ্ন মধুমতি নদীতে অভিযান চালায় প্রশাসন।

স্থানীয় ও প্রশাসন সুত্রে জানাগেছে, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মধুমতি নদীতে বাঁশ ও জাল দিয়ে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে কয়েক মাস ধরে অবাধে মাছ শিকার করা হলেও প্রশাসন থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ ওঠে। এতে মাছের চলাচলে বাধা ও নদীর গতিপথ পরিবর্তনের আশঙ্কা দেখা দেয়। মাছ না পেয়ে বিপাকে পড়েন গরিব জেলেরা। নদীতে বাঁশ ও জাল দিয়ে আড়াআড়িভাবে বাঁধটি দেন পার্শ্ববর্তী মহম্মদপুর উপজেলার বাসিন্দা মিটুল মোল্লার নেতৃত্বে ১০-১২ জন। এভাবে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দেয়ার কারণে অন্য জেলেরা স্বাভাবিকভাবে মাছ ধরতে পারতেন না। এতে অবৈধভাবে বাঁধ দেয়া ব্যক্তিরা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও গরিব জেলেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল।

গত ২৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের প্রিন্ট ভার্সনের শেষ পৃষ্ঠায় "আইন অমান্য, মধুমতি নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ"

শিরোনামে ছবিসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর তিন দিনের মধ্যে বৃহস্পতিবার প্রায় দিন ব্যাপী অভিযান চালিয়ে বাঁধটি অপসারণ করে প্রশাসন।

এ ব্যপারে বোয়ালমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অ.দা.) মো. জসিম উদ্দিন প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, পত্রিকায় সংবাদটি দেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে। বাঁধটি বেশ বড়। এটি অপসারণ করতে বেশ সময় লেগেছে। তারপরও লোকবল বেশি নিয়ে বাঁধটি অপসারণের ব্যবস্থা করা হয়। নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক বলেন, বাঁধটি আমাদের নজরে ছিলো। পত্রিকার সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। অভিযান চালিয়ে বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে। অভিযানের খবর পেয়ে বাঁধ নির্মাণকারীরা পালিয়ে যায়। সকাল থেকে প্রায় দিন ব্যাপী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুরো বাঁধটি অপসারণ করা হয়।

অভিযানের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অ.দা.) মো. জসিম উদ্দিন, বানা ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ হারুন-অর রশিদ, আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক শাহজুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাবর আলী, উপজেলা ক্যাবের সভাপতি কবীর হোসেন, দফতর সম্পাদক মিয়া রাকিবুল প্রমুখ।

পিডিএস/এএমকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অপসারণ,নদীতে বাঁধ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close