বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

  ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩

অন্তর্দ্বন্দ্বে খুন হন আনিস 

হাতকড়া লাগানো লাশের পরিচয় মিলেছে

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও বিলমারী বিলে পাওয়া হাতকড়া লাগানো লাশের পরিচয় মিলেছে আট দিন পর। নিহত ওই যুবকের নাম আমিরুল ইসলাম আনিস (৩২)। তিনি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার নাকফাটা বয়রা মাসুম গ্রামের সাবের আলী সরকারের ছেলে। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একই উপজেলার দারপুর গ্রামের আকছেদ আলীর ছেলে গোলাম আযমকে (৩০) আটক করেছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক।

১০ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে বিলমারী বিল থেকে পেছনে দুই হাত একসঙ্গে হাতকড়া পড়া ও পা বাঁধা লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে সিআইডি ও পিবিআইয়ের একটি বিশেষ টিম নিহতের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করার চেষ্টা করলেও তা মিলেনি। এরপর নিহতকে শনাক্ত করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচার ও অনুসন্ধান চালানোর আট দিন পর তার পরিচয় মেলে।

থানার ওসি আবু সিদ্দিক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ঘটনা তুলে ধরে জানান, নিহত আমিরুল ইসলাম আনিস একটি মাছবাহী ট্রাকের হেলপার ছিলেন। এই কাজের অন্তরালে তিনি তার সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মূলতঃ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব, পাশাপাশি গোপনীয়তা ফাঁসের আশঙ্কায় তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন সহযোগীরা। এরই কৌশল হিসেবে বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও এলাকায় অপারেশন চালাবে এমন কথা বলে তারা বনপাড়া বাইপাস মোড়ে একত্র হওয়ার পরিকল্পনা নেয়। ঘটনার রাতে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ২ জন ও সিরাজগঞ্জ থেকে আনিসসহ দুজন বনপাড়া বাইপাসে একত্র হয়। পরে মাঝগাঁও বউবাজার এলাকায় এসে বিল পাড়ি দেওয়ার কথা বলে মাঝ বিলে নিয়ে যায় আনিসকে। সেখানে অপরাধ সংঘটিত করার জন্য নিয়ে আসা হাতকড়া, সড়কে মোটরসাইকেল আটকানোর জন্য আনা রশি দিয়ে তাকে বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে সহযোগীরা। পরে লাশ ফেলে রেখে দুজন ঢাকায় ও আটককৃত আযম সিরাজগঞ্জের নিজ গ্রামে চলে আসে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অন্তর্দ্বন্দ্বে খুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close