আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ সাতজন দলীয় ও বাকী তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রম শেষে রসিক নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন এ ঘোষণা দেন।

মেয়র পদে মনোনয়নপত্রের বৈধতা পাওয়া প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের শফিয়ার রহমান, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি, লতিফুর রহমান মিলন ও আতাউর জামান বাবু।

নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন জানান, নির্বাচনে অংশ নিতে দাখিল করা মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে পূরণ করা, হলফনামায় কোনো ত্রুটি না থাকা, মামলা সংক্রান্ত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতার সঠিক তথ্যের পাশাপাশি দলীয় প্রত্যয়নপত্র নির্ভুল থাকায় মেয়র পদে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে মেয়র পদে ১৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও গত মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে তিন প্রার্থী মনোনয়ন জমা করেননি। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র এ কে এম আবদুর রউফ মানিক, জাতীয় শ্রমিক লীগের রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রংপুর মহানগরের সাবেক আমির অধ্যাপক মাহবুবার রহমান বেলাল।

নির্বাচনে অংশ নিতে মেয়র প্রার্থীসহ মোট ২৭৭ জন মনোনয়ন জমা দেন। তাদের মধ্যে ১১টি সংরক্ষিত আসনের বিপরীতে ৬৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ৩৩ সাধারণ আসনের বিপরীতে ১৯৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রার্থীদের জমা করা মনোনয়ন বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রমে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তৃতীয়বারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই ও ৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৯ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা ১৭ দিন প্রচারের সুযোগ পাবেন। ২৭ ডিসেম্বর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হবে।