মাসুম বিল্লাহ, শালিখা (মাগুরা)

  ৩০ নভেম্বর, ২০২২

আমন কেটেই জমিতে সরিষা বুনছেন কৃষক

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

চলছে অগ্রহায়ণ, মাঠভরা আমন ধানের যৌবনিকা টানতে না টানতেই আসন্ন সংকটের কথা মাথায় রেখে সরিষা বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। ধানের পাশাপাশি সরিষা থেকে অতিরিক্ত অর্থ পাওয়া যায় বলে অধিকাংশ জমিতে সরিষার চাষ করা হয়। কেউ কেউ আমন ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত। কেউবা ধান কেটে বাড়ি আনার প্রতিক্ষায় মাঠেই রয়েছে।

মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী, আড়পাড়া, ধনেশ্বরগাতীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আমন ধান কাটা শেষ না হতেই সরিষার বীজ বপন করেছন অনেকেই। তবে কোথাও কোথাও সরিষার বীজ বপনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জমিগুলো, কোথাও আবার সরিষার চারা ৫-১০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে নতুন ধান ঘরে তুলেই অনেক এলাকায় ঘরোয়া পরিবেশে করা হচ্ছে নবান্নের উৎসব। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে সুবাসিত পুরো এলাকা। ধানের দাম একটু বেশি থাকায় কৃষকের মুখে সোনালী ফসলের অকৃত্রিম হাসি বিরাজমান।

উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের চাষী নজরুল ইসলাম জানান, এ বছর ৮ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছিলাম, যা কেটেই সরিষা বীজ বুনে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি ধানের মতো সরিষা থেকেও ভালো ফলন পাব। এছাড়াও বুনাগাতী ইউনিয়নের সরিষা চাষী মোগরব মোল্লা জানান, ৫ বিঘা জমিতে সরিষার বীজ বপন করেছি। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে সরিষা থেকে মোটামুটি একটি ভালো অর্থ পাব। যা দিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ জোগাতে পারব বলে আশা করছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় গত বছর ৩ হাজার ৬৮৯ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত সরিষা থেকে হেক্টর প্রতি ১.২ টন ফলন হয়েছিল। তবে এ বছর এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে সরিষার বীজ বপন করা হয়েছে। যেখানে হেক্টর প্রতি ১.৩ টন ফলন হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, প্রতিটা আবাদে কৃষকদের ভালো ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সার, বীজ, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ প্রতিনিয়ত নানাবিধ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতেও কৃষি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আমন কেটে,সরিষা বুনছেন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close