এম এ সাইদ খোকন, আমতলী (বরগুনা)

  ০৭ অক্টোবর, ২০২২

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

উপকূলে ফিরছে সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার

প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে সাগর ও নদীতে ২২ (৬-২৮ অক্টোবর) দিন পর্যন্ত ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা ট্রলার নিয়ে উপকূলে ফিরে আসতে শুরু করেছেন।

আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে মোট ১৫ থেকে ১৮ দিন পর্যন্ত ইলিশের ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য নদীতে ছুটে আসে। ওই সময়কে বিবেচনায় নিয়ে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য প্রতি বছরের মতো এ বছরও সাগর ও নদীতে মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। ওই সময় ইলিশ কেনাবেচা, মজুদ ও পরিবহণ নিষিদ্ধ থাকবে।

তালতলী ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত জেলেরা মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে ইতোমধ্যে ঘাটে পৌঁছতে শুরু করেছেন।

আমতলী ও তালতলী উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞাকালে সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক জেলের জন্য ২০ কেজি করে চাল খাদ্যসহায়তা হিসেবে বরাদ্দ হয়েছে। শিগগিরই ওই চাল জেলেদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

তালতলীর জয়ালভাঙ্গার জেলে মোবারক আলী ও আমতলীর বৈঠাঘাটার জেলে খলিলুর রহমান বলেন, গত ২২ দিন কোনো আয় হবে না। তাই তারা জেলেদের সহায়তা বাড়ানোর দাবি জানান। তারা আরো বলেন, শুধু চাল দিয়েই তো আর পেট ভরবে না, চালের সঙ্গে আরো অনেক কিছুর দরকার আছে। তাই নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারের পক্ষ থেকে আরো বেশি সহযোগিতা পেলে আমাদের মতো জেলেদের সংকট কিছুটা দূর হবে।

তালতলী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলেদের মাছ না ধরায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন যায়গায় মাইকিং করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা মৎস অধিদপ্তর, কোস্ট গার্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং স্থানীয় মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে ব্যাপকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ইলিশে নিষেধাজ্ঞা,মাছধরার ট্রলার,উপকূল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close