কোরবানির ঈদের আগের ১৪ ও ১৫ জুন সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) এবং ১৬ জুন (রবিবার) সরকারি ছুটির দিন ঢাকা মহানগরী, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের পোশাকশিল্প অধ্যুষিত এলাকায় সব ব্যাংক খোলা থাকবে। রবিবার এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, প্রয়োজনীয় লোকবলের মাধ্যমে উল্লিখিত দিনগুলোয় পূর্ণ দিন ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে ।

গত শনিবার রাতে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে আগামী ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সে হিসেবে আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন হচ্ছে সরকারি ছুটি। তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি বিল বিক্রয় ও শ্রমিক, কর্তকর্তা, কর্মচারী বেতন, বোনাস ও অন্য ভাতাদি পরিশোধ করতে ছুটির সময়ে তিন দিন ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে সব তফসিলি ব্যাংকের পোশাকশিল্পসংশ্লিষ্ট শাখাগুলোয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ১৪ ও ১৬ জুন পূর্ণ দিবস ব্যাংক খোলা রাখার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও পূর্ণ দিবস ব্যাংক খোলা রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। অতীতে শুক্রবার নামাজ ও দুপুরের খাবারের বিরতি ছিল। এবার সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা না থাকায় অভ্যন্তরীণভাবে সমন্বয় করতে হবে স্বাভাবিক নিয়ম মেনে।

সার্কুলারে বলা হয়, ঈদের আগে তৈরি পোশাকশিল্পসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি বিল প্রক্রিয়া করতে এবং এ শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন, বোনাস ও অন্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার জন্য এসব ব্যাংক শাখা খোলা রাখতে হবে। এর মধ্যে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি, তারপর রবিবার ঈদ ছুটি।

এদিকে সমুদ্র, স্থল এবং বিমানবন্দর এলাকার বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা এবং এটিএম বুথগুলো দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।