reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১১ জুন, ২০২৪

অগ্রিম টিকিট বিক্রির নৈরাজ্য বন্ধের ব্যবস্থা নিন

ঈদের সময় ট্রেন, বাস ও লঞ্চে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় নতুন কোনো বিষয় নয়। পরিবহন মালিকরা আগেই ঘোষণা দেন যাত্রীদের দুর্ভোগ থেকে রক্ষায় সব প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু তার পরও টিকিট-নৈরাজ্য কমে না। এবারও কমেনি। ঈদযাত্রায় যাত্রীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে ট্রেন। কিন্তু নানা কারণে শেষ ভরসাস্থল হয়ে দাঁড়ায় বাস। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ঈদের আগে ও পরে বাসের টিকিটের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এই সুযোগে টিকিটের দাম বাড়িয়ে দেন বাসমালিকরা। বিকল্প না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বাড়তি দামেই টিকিট কাটতে হয় সাধারণ যাত্রীদের।

দেশ জুড়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে ১৭ জুন। সে হিসেবে ঈদের এই দিনটিকে ধরে ১৬ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ঈদযাত্রা শুরু হবে আগামী ১৩ জুন থেকে। কারণ ওইদিন বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। ফলে এসব কাউন্টারে এসে যাত্রীদের খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, ছোট ছোট কোম্পানির বাসের টিকিট এখনো আছে। তবে সংশ্লিষ্টরা সেগুলো বিক্রি করছেন না। ঈদ আরো ঘনিয়ে এলে সেসব টিকিট আরো বেশি দামে বিক্রির পাঁয়তারা করছেন তারা। বড় কোম্পানিগুলোরও সব টিকিট বিক্রি হয়নি। সংশ্লিষ্টরা হয়তো সিস্টেম ব্লক করে রেখেছে। যাতে সুযোগ বুঝে বেশি দামে বিক্রি করতে পারে। বড় বাস কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঈদ উপলক্ষে ১৩, ১৪ ও ১৫ জুনের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। টিকিট তো অনলাইনে আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে কাউন্টার থেকে নতুন করে টিকিট দেওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করা উচিত। যাতে কোনো অবস্থাতেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার তালিকার হেরফের হলে কোনো প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ফলে ঈদের সময় বাড়তি ভাড়া স্বীকৃতি পেয়ে যায়। যখন বেসরকারি বাসের টিকিটের এই হালচাল তখন কিছুটা আশার বাণী শুনিয়েছে দেশের রাষ্ট্রীয় গণপরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি)। ঈদ উপলক্ষে আগামী ১৩ জুন থেকে স্পেশাল সার্ভিসের আয়োজন করেছে বিআরটিসি। ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের টিকিট বিক্রি ১০ জুন শুরু হয়েছে। বাস চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত।

বলা বাহুল্য, রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোয় প্রশাসনের নজরদারি থাকা উচিত, যাতে যাত্রীরা তাৎক্ষণিক প্রতিকার পেতে পারেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা গেলে ভাড়া-নৈরাজ্য কমবে বলে আমাদের ধারণা। অবৈধ পন্থায় অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য ঈদের আগে টিকিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মানুষকে উচ্চমূল্যে টিকিট কিনতে বাধ্য করে একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ। দুর্মূল্যের এই বাজারে কালোবাজারিদের কারণে মানুষ যদি টিকিটের পেছনে বাড়তি অর্থ দিতে বাধ্য হয়, তবে উৎসবের রং হারাবে। ঘরমুখো মানুষের ঈদ উদযাপন স্বস্তিকর করতে সরকার ব্যবস্থা নেবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close