ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া

  ২১ মে, ২০২৪

মতামত

দেশে দেশে স্বাধীন ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ

গত বছরের অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়াখ্যাত ইসরায়েলের অমানবিক আক্রমণে ফিলিস্তিনে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাত থেকে নিজেদের মুক্ত ও স্বাধীন করার লক্ষ্যে হামাস যে যুক্তিসংগত হামলা পরিচালনা করে, তাকে কেন্দ্র করে সেদিন থেকে শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ এবং শিশুকে হত্যা করে পৃথিবীর ইতিহাসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের করা এমন অমানবিক হামলা ও হত্যাকাণ্ডে বিশ্বে মানবাধিকার রক্ষাকারী হিসেবে সাফাই গাওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের হাতের পুতুল বিশ্ব মানবাধিকার সংগঠনগুলো নীরব থাকলেও জেগে উঠেছে মানবাধিকারে বিশ্বাসী বিশ্ব মানচিত্রের অন্যান্য দেশ। ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে বিশ্বের দেশে দেশে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিচালিত এই বিক্ষোভ মিছিল নিঃসন্দেহে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে এবং মানবাধিকারের পক্ষে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে পরিচালিত এমন ন্যক্কারজনক হামলা ও হত্যাকাণ্ডে মারাত্মকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। ইসরায়েলের করা অমানবিক হামলায় গাজায় প্রতি দশ মিনিটে প্রাণ হারায় একটি শিশু। এতে খুব সহজেই অনুমেয়, ফিলিস্তিনে কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। গাজার প্রধান হাসপাতাল আল-সিফায় ইনকিউবেটরে থাকা ৩৯ জন শিশু বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। কারণ, হাসপাতালটিতে আগে থেকেই বিদ্যুৎব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। পরে জেনারেটরও বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবশেষে হাসপাতালটি বোমাবর্ষণ করে ধ্বংস করা হয়। জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সেখানে প্রতি দশ মিনিটে একটি শিশু প্রাণ হারাচ্ছে, আশ্রয় নেওয়া শিবির হামলা করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, মসজিদ ধ্বংস করা হচ্ছে, জাতিসংঘের দপ্তরে আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে সেই দপ্তরেও হামলা করা হচ্ছে, স্কুলে থাকা ৫০ জন শিশুসহ স্কুল ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, শিশুখাদ্যের অভাবে শিশুরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে।

দখলদার শক্তি অবরুদ্ধ গাজায় ৪১ হাজার ইউনিট বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে। আবাসন ও অবকাঠামো খাতে আনুমানিক প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, ইসরায়েল ও হামাসের চলমান প্রথম ৩৫ দিনের যুদ্ধে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ৩২ হাজার টন বোমা ফেলেছে। এই পরিমাণ বিস্ফোরক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে অন্তত দেড় গুণ বেশি ক্ষতি করতে সক্ষম। ২৩ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অন্তত ১২ হাজার টন বোমা ফেলেছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমা যে পরিমাণ ক্ষতিতে সক্ষম তার প্রায় সমান।

আন্তর্জাতিক আইন জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যেখানে ধর্মীয় স্থাপনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ, সেখানে হামাসের যোদ্ধারা এসব ভবনের ভেতরে অথবা আশপাশে আশ্রয় নিয়েছে দাবি করে ইসরাইেয়লি বাহিনী এসব ভবনকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে গণহত্যায় মেতে উঠেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার ৯০৮টি পরিবারকে একেবারে মুছে দিয়েছে। অর্থাৎ ইসরায়েলি বর্বরতার শিকার এই পরিবারগুলোর কোনো সদস্যই আর বেঁচে নেই। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৮৫টি সরকারি ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ৪৭টি মসজিদ, ৩টি গির্জাও বিধ্বস্ত হয়েছে। আবাসিক ভবন বিধ্বস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখ। এর মধ্যে ৩২ হাজার বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০৩টি স্কুল। এগুলোর মধ্যে ৪৫টি স্কুলে কোনো ধরনের কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে গাজার অন্তত ২৩ লাখ মানুষ এক চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, বর্বরোচিত নারকীয় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বাঁচতে সবাই দক্ষিণের পথে পা বাড়ালেও গাজার কোনো জায়গায়ই নিরাপদ নয়।

বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, যে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিস্তর অভিযোগ আনে, কথায় কথায় মানুষকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সবক দেয়, সেই রাষ্ট্রটি এখন পাখির মতো গুলি করে এবং বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করে ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করার নিন্দার বদলে পৃষ্ঠপোষকতা করছে ইসরায়েলের। তাদের পক্ষে সাফাই গাইছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজা ভূখণ্ডে নিক্ষিপ্ত হাজার হাজার টন বোমার মধ্যে অন্তত ৪০ হাজার টন বোমা নিক্ষেপ করেছে তেল আবিব, যার বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এমকে-৮০ বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া হামলায় ব্যবহৃত বেশির ভাগ ফাইটার জেটও যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা। ইসরায়েল এরই মধ্যে মিত্র দেশটির কাছ থেকে প্রতিশ্রুত ৭৫টি ফাইটারের মধ্যে ৪০টি এফ-৩৫ হাতে পেয়েছে বলে স্বীকারও করেছে।

এমতাবস্থায় জাতিসংঘ উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার কথা বলে প্রাথমিক কার্য সাঙ্গ করেছে। এতে বর্বর ইসরায়েলের তেমন কিছু যায়-আসে না। সে তার মতো করেই গুলি ও বিমান হামলা অব্যাহত রেখে নিরস্ত্র ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা এবং বিভিন্ন স্থাপনা ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এই নির্লিপ্ততা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর এমন বর্বর হামলা বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে। এ যুগে এমন বর্বরতা অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও তাতে ইসরায়েল ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করছে না। ইসরায়েল নারী-শিশুসহ নিরস্ত্র মানুষের ওপর যে নারকীয় গণহত্যা চালাচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রসহ তার মিত্র দেশগুলোর প্রশ্রয়ের কারণেই হচ্ছে।

সুতরাং, ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে এমন অমানবিক হামলা ও হত্যাকাণ্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু পৃষ্ঠপোষকতা করেই বসে থাকেনি, বরং হামলার পুরো সময় যুদ্ধের রসদ সরবরাহ করে মিত্র দেশ ইসরায়েলের পাশে থেকে বিশ্বের ইতিহাসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরম ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছে। পশ্চিমা বেশির ভাগ গণমাধ্যমও একই নীতি অনুসরণ করছে। তাদের সহযোগী ও পুঁথি পড়ানো মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইসরায়েলের বর্বরতা দেখেও না দেখার ভান করছে। তাদের বিবেক-বুদ্ধি ও তথাকথিত মানবাধিকারের আসল রূপ এখন উন্মোচিত হচ্ছে। তাদের বিবেক এখন গণহত্যার জয়গানে বিভোর।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় তার মিত্র দেশ ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে পরিচালিত এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী বিশ্বের অন্যান্য দেশের নেতারা এবং সচেতন নাগরিক সমাজ চরম ব্যথিত। ইসরায়েলি বর্বরোচিত এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডে ফিলিস্তিনে মানবাধিকারের যে চরম লঙ্ঘন হয়েছে, তার প্রতিবাদে বিশ্বের দেশে দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল পরিচালিত হচ্ছে। প্রথম দিকে গাজায় এভাবে নির্বিচারে শিশুহত্যা বন্ধে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানসহ বিশ্বের নানা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। বরং এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আরো ভয়ংকরভাবে আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল।

এমতাবস্থায়, গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়া জুড়ে শহরে শহরে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মানবাধিকারে বিশ্বাসী বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ এবং শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের একটি হয়েছে লন্ডনে। সেখানে দেশটির বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সরকারের কাছে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বিশাল মিছিল করেছে। পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় কুয়ালামাপুরে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের সামনে বেশ বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। একই চিত্র দেখা গেছে তুরস্কের শহর ইস্তাম্বুলে। ইরাকের রাজধানী বাগদাদে কয়েক হাজার নাগরিক ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে মিছিল করেছেন। তাহরির স্কয়ারে সমাবেশ করেন তারা। এ সময় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি পোড়ানো হয়েছে ইসরায়েলের পতাকা।

কেউ কেউ সাদা কাফন পরে শামিল হয়েছিলেন প্রতিবাদে। ইউরোপের কোপেনহেগেন, রোম এবং স্টকহোমেও মানুষ ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে রাস্তায় নেমেছে। বিশেষ কারণে ফ্রান্সে র‌্যালি নিষিদ্ধ থাকলেও প্যারিসে সেই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে র‌্যালি করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে হাজার হাজার মানুষকে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে দেখা যায়। একই সঙ্গে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে মিছিল করে তারা। জর্দানের রাজধানী আম্মানেও প্রায় ১০ হাজার মানুষ ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ করেছেন। এতে বামপন্থি বিভিন্ন দল ও তরুণদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। তার ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান, ভারত, লেবানন ও সিরিয়াসহ বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে। তবে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে গত ১৮ এপ্রিল যে বিক্ষোভ শুরু করেন নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তা পরে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ দমনে মার্কিন সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েও সফল হতে পারেনি।

এদিকে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিচালিত বিক্ষোভ মিছিলের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশেও বিক্ষোভ মিছিল পরিচালিত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতার প্রতিবাদে চলা মার্কিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ সংহতি সমাবেশ করেন।

পরিশেষে বলতে চাই, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সরকারপ্রধানের মতো মানবাধিকারে বিশ্বাসী ও মানবতার জননীখ্যাত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ব্যক্ত করার পাশাপাশি ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশে ফিলিস্তিনের সমর্থনে যে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে, তার মাধ্যমে ইসরায়েল এবং তার পৃষ্ঠপোষক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেওয়া এবং ফিলিস্তিনকে নিজেদের ভূখণ্ডে স্বাধীনভাবে চলার সুযোগ করে দেওয়া। তা না হলে মানবিক অধিকারে বিশ্বাসী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও নাগরিক সমাজ ইসরায়েল এবং তাদের মিত্রদের প্রত্যাখ্যান করবে। যার মাধ্যমে ইসরায়েল এবং তার মিত্ররা নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে ভোগার মতো পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতে পারে। সে রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই তাদের উচিত হবে নিজেদের শোধরানো।

লেখক : অধ্যাপক, উপাচার্য

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close