বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

  ৩১ মার্চ, ২০২৪

পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস

বেনাপোলে ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

পচনশীল পণ্য আমদানি বাণিজ্যে অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগ এনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে অবস্থান ধর্মঘট করেছে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা। এদিকে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় দুই বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় কয়েকশ ট্রাক আটকা পড়ে। গতকাল

শনিবার সকাল ৯টা থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের আমদানি-রপ্তানি গেটে বাংলাদেশি সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা অবস্থান নিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস কার্যক্রম করা হবে আশ্বাসের ৪ ঘণ্টা পর পুনরায় দুপুর ১টা থেকে আমদানি করা কাঁচামাল নিয়ে বন্দরে প্রবেশের অনুমতি পায় পণ্যবাহী ট্রাক।

এ সময় সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি করা পচনশীল পণ্য বন্দর থেকে আগে খালাস হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিনিয়ত ভারতীয় ব্যবসায়ীরা অন্য পণ্য খালাস করে কাঁচা পণ্য খালাসে ধীরগতির সৃষ্টি করে। ফলে আমদানি করা পচনশীল পণ্যের ট্রাক সময়মতো বাংলাদেশে পাঠায় না। আবার সন্ধ্যার পর কাস্টমস মাল খালাস দেন না। পরের দিন সকালে খালাস নিতে হয়। এর ফলে পচে নষ্ট হয়ে যায় কাঁচা মালামাল। যে কারণে চরম লোকসান গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। এভাবে বছরের পর বছর চলে এলেও বিষয়টি কোনোভাবে সুুরাহ না হওয়ায় পচনশীল পণ্য আমদানি কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।

আমদানিকারক উজ্বল বিশ্বাস জানান, রমজানে পচনশীল পণ্য দ্রুত সরবরাহের নির্দেশ রয়েছে। ভারত সরকার স্লট বুকিংয়ের নামে ট্রাক প্রতি ১০ হাজার রুপিও নিচ্ছে। তবে কোনো বৈধ সুবিধা ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না। এতে চাহিদা মতো পণ্য আমদানি ও সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্মঘট ডেকেছিলাম। ফলে সুষ্ঠু সমাধান হওয়ায় ধর্মঘট তুলে নিয়েছি।

সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জানান, সরকার ২৪ ঘণ্টা বন্দর সচলের কথা বললেও বেনাপোল কাস্টমস সন্ধ্যা ৬টার পর পচনশীল পণ্য খালাস করে না। এতে তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। বাধ্য হয়ে এ অবস্থা থেকে বের হতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। অবশেষে পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাসের অনুমোদন পাওয়ায় ধর্মঘট তুলে নেন ব্যবসায়ীরা।

বেনাপোল কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান আমদানি-রপ্তানি বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভারত অংশে সমস্যার কারণে কাঁচামাল আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা কর্মবিরতির ডাক দিলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে পড়ে। দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পুনরায় বাণিজ্য সচল করা হয়েছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close