গরমে শীতের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যায়। এসি, ফ্যানসহ নানান ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করেন। ফলে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেড়ে যায়।

প্রচণ্ড গরমে খাবার ভালো রাখতে একমাত্র ভরসা ফ্রিজ। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ছাড়া চলছেই না। সারা দিন-রাত ধরে চলছে ফ্রিজ। কিন্তু জানেন কি ফ্রিজ ঠিকমতো ব্যবহার না করলে বাড়তে পারে ইলেকট্রিক বিল। পাশাপাশি চটজলদি খারাপ হয়ে যেতে পারে ফ্রিজও।

গরমে ফ্রিজের তাপমাত্রাও অনেক নামিয়ে আনা হয়। সারাক্ষণ চলতে থাকে ফ্রিজ। গরমে এসি বা কুলারের কারণে কিছুটা বেড়ে যায় ইলেকট্রিকের বিল। জেনে নেওয়া যাক কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা খুবই জরুরি, যাতে বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো যায়।

প্রথমত মনে রাখতে হবে, কেউ যখন নতুন ফ্রিজ কেনার কথা ভাবছেন, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিংসহ কেনা উচিত। ৫ স্টার রেটিংযুক্ত ফ্রিজে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হয়।

ফ্রিজের লোকেশন : ফ্রিজ কোথায় রাখা হচ্ছে তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রেফ্রিজারেটর এমন জায়গায় রাখবেন না যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে। এ ছাড়া মাইক্রো ওভেন, মাইক্রোওয়েভ, গ্যাসের ওভেন বা কুকারের কাছাকাছিও রাখা উচিত নয় ফ্রিজ। এতে ফ্রিজ দ্রুত গরম হবে এবং কম্প্রেশারকে ঠান্ডা করতে আরো বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন।

ওভারলোড : ফ্রিজের ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি জিনিস দিয়ে ভর্তি করা হলে তা ঠান্ডা বাতাসের সঞ্চালন বন্ধ করে দেয়। এর অর্থ হলো, রেফ্রিজারেটর ঠান্ডা করার প্রক্রিয়ায় অনেক বেশি পরিমাণ শক্তি ব্যয় হয়। ফলে কারেন্টের খরচাও বেড়ে যায়।

গরম খাবার : গরম খাবার কখনো ফ্রিজে রাখবেন না। গরম খাবার ফ্রিজের মধ্যে রাখলে ফ্রিজের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। উচ্চ তাপমাত্রা রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেশারের কাজ আরো বাড়িয়ে দেয়। ফলে এটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে।

ফ্রিজ পরিষ্কার করা : ফ্রিজ অবশ্যই পরিষ্কার রাখুন। এটি শুধু দুর্গন্ধ বা দাগ থেকে মুক্তি দেয় তা নয়, পরিষ্কার রাখলে ফ্রিজে বিদ্যুৎও বাঁচতে পারে। পেছনের যে কয়েলগুলো রেফ্রিজারেটরকে ঠান্ডা করার কাজ করে, সেগুলো যদি ময়লা দিয়ে আবৃত থাকে তবে তাদের কাজ আরো বেড়ে যায়। ফলে বিদ্যুতের খরচও বেড়ে যায়।

"