তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

  ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইমো অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখার উপায়

স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফরম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যক্তিগত অনেক তথ্য উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার ঝুঁঁকি তৈরি হয়। ইন্টারনেট আমাদের জীবনকে সহজ করলেও ইন্টারনেটের অসাবধান ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও ফাঁসের ঝুঁকি থেকে যায়।

ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে এ বছর ইমো নিয়ে এসেছে কয়েকটি উদ্ভাবনী সিকিউরিটি ফিচার। বার্তা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত রাখতেই ইমোর এই প্রচেষ্টা।

ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ : একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ব্যক্তিগত মেসেজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে এই ফিচারটি। ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ ফিচারটি চালু থাকলে মেসেজ আদান-প্রদানের পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই মেসেজগুলো দেখা যায়, যা ব্যবহারকারীরা নিজেদের সুবিধামতো নির্ধারণ করতে পারবেন। এতে করে তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে।

সিক্রেটচ্যাট : সিক্রেটচ্যাট চালু থাকলে চ্যাট উইন্ডো থেকে বের হয়ে যাওয়া মাত্রই সম্পূর্ণ উইন্ডো মুছে যায়। প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক তথ্যের সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই ফিচার হতে পারে অত্যন্ত কার্যকর।

টাইম মেশিন : নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে এ ফিচার, যার মাধ্যমে সময় নির্বিশেষে যেকোনো কথোপকথন চ্যাট হিস্ট্রি থেকে ডিলিট করা যায়। ফলে নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য থাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে।

ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস : তথ্য ফাঁসের পেছনে একটি মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অযাচিত স্ক্রিনশট। তাই ইমো চালু করেছে ব্লক স্ক্রিনশট ফর কল, যার মাধ্যমে আপনি যে কাউকে ভিডিও কল চলাকালীন স্ক্রিনশট নেয়া থেকে বিরত রাখতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে এ ফিচারের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো সুরক্ষিত করা যায় খুব সহজেই।

ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট : অপরিচিত ব্যবহারকারীদের থেকে অযাচিত মেসেজগুলোর ক্ষেত্রে সুরক্ষা প্রদান করে ফিচার। ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ ব্যবহার করে আপনি যোগাযোগ স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত অপরিচিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষদের দূরে রেখে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন এবং কার সঙ্গে রাখবেন না, সেই সিদ্ধান্ত থাকবে আপনার হাতে।

সিম কার্ড বাইন্ডিং : সিম কার্ড বাইন্ডিং ফিচারটির মাধ্যমে ইমো ব্যবহারকারীদের নিজস্ব ফোনের সিম কার্ডের সঙ্গে ইমো অ্যাকাউন্টটি আবদ্ধ থাকে। এতে করে শুধুমাত্র সিম কার্ড সংলগ্ন ডিভাইসটিতেই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা যায়।

যেহেতু অন্যান্য ডিভাইসে অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা যায় না, সেহেতু হ্যাকিংয়ের সুযোগও কমে আসে। এমন একটি ফিচার বিশ্বে প্রথমবারের মতো চালু করেছে ইমো।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close