বন্যায় গবাদি পশুর সুরক্ষায় সরকারি খরচে নির্মিত ভোলার চরফ্যাশনে মুজিব কিল্লার মাটি তুলে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে।

গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন এলাকায় মুজিব কিল্লার মাটি তুলা হচ্ছে।

জানা গেছে, চার ধাপে কিল্লার মাটি ড্রেজিং করার ফলে যেকোনো সময় ভেঙে পড়বে কিল্লাটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় কৃষক জানান, দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজিং এর ফলে কিল্লার এক পাশ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় কিল্লা সংলগ্ন একাধিক বসতঘর ঝুঁকিতে রয়েছে।

জানা যায়, জাহানপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাবুল, ছাদেক, জাকির, ভুট্টু ও ছত্তার খন্দকারসহ ড্রেজারের মালিক কবির পাটোয়ারী একত্রিত হয়ে কিল্লাটি নির্মাণে সৃষ্ট জলাশয় থেকে ড্রেজিং করে মাটি তুলে তা বিক্রি করছেন। এর আগেও চার ধাপে মুজিব কিল্লার পাশ থেকে এই চক্রটি কিল্লার জলাশয় ড্রেজিং করে চার লাখ টাকার মাটি বিক্রি করেছে । এ বিষয়ে তারা কাউকে তোয়াক্কা করছে না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।

ড্রেজিং করে মাটি তোলার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বাবুল খন্দকার জানান, কিল্লার পাশের জলাশয়টি তাদের রেকর্ডকৃত জমি। তবে তারা ড্রেজিং করছেন না। ড্রেজিং করছেন কবির পাটোয়ারী। তিনিই মসজিদে মাটি দেওয়ার কথা বলে ১ লাখ টাকা নিয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার বলেন, ‘জলাশয় এবং কিল্লাটি সম্পূর্ণ সরকারি সম্পদ ও স্থাপনা। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মসজিদ কমিটির টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’

সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেক মুহিদ জানান, ‘মুজিব কিল্লা রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

"