চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৩ মে, ২০২৪

সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে, ১৫ মে শুনানি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবদুল ওয়াহেদের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আগামী ১৫ মে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ এর উপসচিব এম এম মোস্তফা জামাল চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৮ জন পরিচালক চলতি বছরের ২ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সদস্যপদ না দেওয়া, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মাসিক সভার আয়োজন না করা, সহযোগী সদস্যদের পদ নবায়ন না করার অভিযোগ তোলা হয়।

এদিকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। আবদুল ওয়াহেদ ছাড়াও জার্মান রেমন, চেম্বার অব কমার্সের সচিব বঙ্কিম চন্দ্রকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযোগকারী ৮ পরিচালক মো. মাহবুব আলম, মো. আনোয়ার হোসেন, আবদুল মতিন সেলিম, রাইহানুল ইসলাম লুনা, আনোয়ার পারভেজ, এসতার আলী, কাউসার জাহান, সেরাজুল ইসলামকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে শুনানিতে।

অভিযোগের শুনানির ব্যাপারে আবদুল ওয়াহেদ বলেন, মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। ধার্য করা দিনে উপস্থিত হয়ে শুনানিতে অংশ নেব, সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করব।

৮ পরিচালকের অভিযোগে বলা হয়, বাণিজ্য সংগঠন আইন-২০২২ অনুযায়ী জেলার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরা সাধারণ সদস্যপদ পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করার পরও তাদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। অন্যদিকে চেম্বারের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদের পছন্দের ব্যবসায়ীদের কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই সদস্য পদ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তার আত্মীয়-স্বজন, কর্মচারী ও অব্যবসায়ীদেরও সদস্য করে নিচ্ছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রতি দুই মাসে কমপক্ষে একটি পরিচালনা পর্ষদের সভা করতে হবে। কিন্তু ২০২৩ সালের ২২ জুলাইয়ের পর কোনো সভা অনুষ্ঠিত হয়নি।

গঠনতন্ত্রের ১৩-এর ৫ ধারা মোতাবেক, পরিচালনা পর্ষদের সভার পর ১৫ কার্যদিবসের সভার কার্যবিবরণী পরিচালনা পর্ষদের কাছে পাঠাতে হবে। এমনকি প্রতি মাসের আয়-ব্যয়ের হিসাব ও নতুন অন্তর্ভুক্ত সদস্যদের তালিকা প্রদান করার নিয়ম রয়েছে। সেগুলোও মানা হচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণী বইতে পরিচালকদের অগ্রিম স্বাক্ষর দেওয়া হয়, সেটাও সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close