জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটা চলছে মহাসমারোহে। ধান কাটার শব্দ আর কৃষি শ্রমিকদের গানের সুরে মুখরিত সোনালী ধানের মাঠ। জমি থেকে শ্রমিকরা মাথায় নিয়ে সোনালী স্বপ্ন পৌঁছে দিচ্ছেন কৃষকের ঘরে ঘরে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো উৎপাদনে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় ২৮ ভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এ বছর ১ লাখ ৯১ হাজার ৪৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। তবে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে। উপজেলা ভিত্তিক নওগাঁ সদর উপজেলায় ১৮ হাজার ৪০০ হেক্টর, রানীনগর ১৮ হাজার ৭৫০ হেক্টর, আত্রাই ১৮ হাজার ৭১০ হেক্টর, মহাদেবপুর ২৮ হাজার ৩২০ হেক্টর, বদলগাছী ১১ হাজার ৭৪০ হেক্টর, পত্নীতলা ১৯ হাজার ৫৪৫ হেক্টর, ধামইরহাট ১৮ হাজার ৮০৫ হেক্টর, সাপাহার ৫ হাজার ৮২০ হেক্টর, পোরশা ৯ হাজার ৭২০ হেক্টর, নিয়ামতপুর ২৩ হাজার ৩৬০ হেক্টর এবং মান্দা উপজেলায় ১৯ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের লক্ষ্য এ বছর প্রতি হেক্টর জমিতে ৬ দশমিক ৭২ টন ধান উৎপাদন নিশ্চিত করা। সেই হিসেবে জেলায় এ বছর ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৪২৫ টন ধান উৎপাদিত হবে বলে কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা। চালের হিসেবে প্রতি হেক্টর জমি থেকে ৪ দশমিক ৪৮ টন হারে উৎপাদনের পরিমাণ ৮ লাখ ৬৪ হাজার ২৮০ টন।

"