নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০১ মার্চ, ২০২৪

ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদের জামিন নামঞ্জুর

ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত শুনানি শেষে মুরাদ হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মুরাদ হোসেনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অভিযুক্ত মুরাদকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যে অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পুলিশ হেফাজতে দুদিন জিজ্ঞাসাবাদ তার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

মুরাদ হোসেন সরকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের দিবা শাখার গণিতের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। ২০১০ সাল থেকে তিনি সেখানে পড়াচ্ছেন। পাশাপাশি আজিমপুর এলাকার একটি ফ্ল্যাটে কোচিং সেন্টার খুলে পড়াতেন। ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ‘ভালো সম্পর্ক’ তৈরি করে ওই কোচিংয়েই তাদের যৌন হয়রানি করতেন তিনি। বছরের পর বছর ধরে তার এ ধরনের কর্মকাণ্ড চললেও ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পেত না। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, মুরাদের ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। সেগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হবে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এক অভিভাবক। এ বিষয়টি নিয়ে একটি সংবাদপত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করলে তা নিয়ে আলোচনা ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শোরগোল পড়ে যায়। পরে মুরাদ হোসেনকে আজিমপুরের ক্যাম্পাসের দিবা শাখা থেকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। কলেজের পক্ষ থেকে গঠন করা হয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।

কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে ভিকারুননিসার ছাত্রীরা। অভিভাবকরা সংবাদ সম্মেলন করে ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানান। গত সোমবার রাতে কলেজের পরিচালনা কমিটির সভায় মুরাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেদিন সন্ধ্যায় এক শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলা করেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কলাবাগানের বাসা থেকে মুরাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close