নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মিয়ানমারের ছলনায় পা দেওয়া হবে বড় বোকামি

- সুরঞ্জন ঘোষ

সাংবিধানিক অধিকার ফোরামের সভাপতি এবং ৯০-এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের কেন্দ্রীয় নেতা সুরঞ্জন ঘোষ মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের সরকারের প্রতি নৈতিক সমর্থন জানিয়ে এবং সামরিক জান্তার দ্রুত পতন কামনা করে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন মিয়ানমার জান্তার প্রতারণামূলক কূটকৌশলের কূটনীতিতে পা দেওয়াটা হবে মারাত্মক ভুল। মরণ ফাঁদে পা দেওয়ার শামিল। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ছলনায় ভুললে তা হবে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর। গতকাল শনিবার দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।

সুরঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক জান্তার এখন পতনের দারপ্রান্তে রয়েছে। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ ভুখণ্ড সশস্ত্র বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এ অবস্থায় মিয়ামারের সরকার বলেছে, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা দেশটির গণবিচ্ছিন্ন সামরিক জান্তার হয়ে যুদ্ধ করলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।’ সামরিক জান্তার এ ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। বরং আমাদের সরকার ও দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তির উচিত হবে মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের সরকারের প্রতি নৈতিক সমর্থন জ্ঞাপন করা। কারণ মিয়ানমারের সামরিক সরকারগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেনি। বিপরীতে বাংলাদেশের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে এক বিশাল রোহিঙ্গা সমস্যা। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সরকারগুলো বাংলাদেশকে বারবার প্রতারিত করেছে।

সুরঞ্জন ঘোষ আরো বলেন, দিন পাল্টে গেছে। পুরোনো কূটনৈতিক নীতিতে চললে আর হবে না। এখন আমাদের কূটনৈতিক নীতি হতে হবে জাতীয় স্বাধীনতা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংরক্ষণ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে। সেই বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য বিশ্বের মুক্তি দুনিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করা। অন্যদিকে বিশ্বের স্বৈরাচারি ও চরম কর্তৃত্ববাদী কোনো সরকারের তাৎক্ষণিক লাভের প্রস্তাবে সাড়া দেওয়া ঠিক হবে না। সুরঞ্জন ঘোষ তার এ বিবৃতিতে দেশের সব রাজনৈতিক শক্তি, সাংস্কৃতিক সংগঠন, নাগরিক সমাজ ও ছাত্রসমাজকে মিয়ানমারে জেগে ওঠা গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর প্রতি সমর্থনে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close