নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পর্যটকের ভিড় কক্সবাজারে

সরকারি ছুটিতে পর্যটকের ভিড় হয়েছে কক্সবাজারে। ফলে সেখানকার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউসগুলো বুকড হয়ে গেছে। তবে পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত রুমভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে টমটম চালকদের কাছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস রয়েছে। হোটেল ব্যবসা ছাড়াও রেস্তোরাঁ, শামুক, ঝিনুক, শুঁটকি, বার্মিজ পণ্য বিক্রিসহ অন্যান্য মিলে ফেব্রুয়ারি মাসে শতকোটি টাকার ব্যবসা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিকভাবে রেল চলাচল শুরুর পর পর্যটক খরা কাটতে শুরু করে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বাড়তে থাকে পর্যটক। সরকারি এবং সাপ্তাহিক ছুটিতে এ সংখ্যা বাড়ে। গতকাল বিকেলে সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট, বঙ্গবন্ধু পয়েন্ট এবং কলাতলী পয়েন্টে পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়।

কলাতলী পয়েন্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্ধুরা মিলে কক্সবাজারে এসেছি। কিন্তু কোনো হোটেলে রুম না পেয়ে রাতেই ঢাকায় ফিরব। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন বলেন, শিক্ষকসহ প্রায় ৭০ জন কক্সবাজারে এসেছি। সৈকতে যতবার আসি ততবার ভালো লাগে। তবে পর্যটন স্পটগুলো আগের মতোই রয়ে গেছে। সজিব রহমান বলেন, ব্যস্ততা ও ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার কারণে বেড়ানোর সুযোগ তেমন হয় না। তাই দুদিনের জন্য কক্সবাজারে এসেছি। তবে সৈকত ছাড়া এখানে বেড়ানোর কোনো জায়গা নেই। বলতে গেলে এক দিন পর কক্সবাজারে আর ভালো লাগছে না।

আফজালুর রহিমী বলেন, রেলে চড়ে কক্সবাজার নেমেই টমটম চালকদের কাছে হয়রানির শিকার হয়েছি। জঘন্য তাদের আচরণ। এরপরে দ্বিতীয়বার হয়রানির শিকার হতে হয় হোটেল ভাড়া নিয়ে। প্রতিটি রুমের ভাড়া দিতে হয়েছে পাঁচ হাজারের ওপরে।

হোটেল সী-প্রিন্সেসের সিনিয়র ম্যানেজার মাজেদুল বশর চৌধুরী সুজন বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় কক্সবাজারে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। আমাদের হোটেলে পুরো মাস শতভাগ বুকিং রয়েছে।

হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিচ হলিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাফিজুর রহমান লাভলু বলেন, পর্যটক আসায় ব্যবসা ভালো হচ্ছে। আশা করছি বিগত সময়ের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব।

হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, সমিতিভুক্ত কোনো হোটেল বা গেস্টহাউস কর্তৃপক্ষ যদি অতিরিক্ত টাকায় আদায় করে তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সমিতির বাইরে যারা আছে তাদের বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ। তিনি বলেন, পর্যটকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। হয়রানির অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close