নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমছে মূল্যস্ফীতি

লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে রপ্তানি আয়ে। কিছুটা বেড়েছে রেমিট্যান্সও। মূল্যস্ফীতিও ফিরেছে নিম্নমুখী ধারায়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সামষ্টিক অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি বেশ ইতিবাচক। তবে গতিশীলতা আরো বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, খাদ্যপণ্যের দাম বেশি হারে কমায় বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে সদ্যসমাপ্ত নভেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে হয়েছে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অক্টোবরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির এ হার ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

সবশেষ প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির তথ্য বলছে, গত মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূূত মূল্যস্ফীতি দুটোই কমেছে। তবে বেশি কমেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি; খাদ্যপণ্য খাতে আগের মাসের চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৮০ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে।

এটিই মূলত মূল্যস্ফীতি কমাতে ভূমিকা রেখেছে। তবু এখনো তা ১০ শতাংশের বেশি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, আগের বছর নভেম্বর মাসে দেশে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, সেটা কিনতে এ বছর নভেম্বরে ভোক্তাকে ১০৯ টাকা ৪৯ পয়সা ব্যয় করতে হয়েছে। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে গত মার্চ থেকে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বাড়তে বাড়তে গিয়ে ৯ শতাংশে ঠেকেছে। গত মে মাসে তা ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে পৌঁছে যায়, যা ছিল ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বরে খাদ্যপণ্য খাতের মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য হারে প্রায় ১ দশমিক ৮০ শতাংশ পয়েন্ট কমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে নেমেছে। এর আগের মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

নভেম্বরে খাদ্যবহির্ভূত খাতের মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে। অক্টোবরে এ হার ছিল ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।

শহর ও গ্রামের হিসেবে নভেম্বরে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশে নেমে এসেছে। অক্টোবরে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

অপর দিকে শহরাঞ্চলের সাধারণ মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। আগের মাসে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।

ঊর্ধ্বগতির বাজারে নভেম্বরে দেশজুড়ে শীতকালীন সবজি আসায় খাদ্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী হয়েছে। ডিম, মুরগি, মাছ ও গরুর মাংসের দামও কিছুটা কমার প্রভাব পড়েছে বাজার খরচে, যা নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমাতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বিবিএসের কর্মকর্তারা।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাদত হোসেন সিদ্দিকী বলেন, আরএমজি এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে গত অর্থবছরে ১০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ছিল তা এ বছর হয়েছে ১১ দশমিক ৬ বিলিয়ন।

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজারের পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। একই সঙ্গে পণ্যে বহুমুখী করার কথাও বলছেন তারা।

অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাদত হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ইউরোপিয়ান মার্কেটে যেমন ডিমান্ড রয়েছে ইউএস মার্কেটেও আমার পণ্যের চাহিদা রয়েছে। ভবিষ্যতে চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেহেতু চায়না তাদের বাজার ধীরে ধীরে সংকোচন করছে। আর এই সংকোচনের জায়গাটা আমরা স্পষ্ট চিত্রে দেখতে পাই বাংলাদেশ সেই জায়গাটুকু দখলে নিচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close