এএফএম মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি (বগুড়া)

  ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

আদমদীঘিতে এইচএসসির ফল বিপর্যয়

৭ কলেজের ১৩৭৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল ৫৬৮ জন

বগুড়ার আদমদীঘিতে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ফল বিপর্যয় হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত পরীক্ষার ফলে উপজেলার সাত কলেজের সবকটিতে ফল বিপর্যয় ঘটেছে। কোনো কলেজই শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার কভার করতে পারেনি। এক হাজার ৩৭৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৮১১ জন। ফেল করেছেন ৫৬৮ জন। উপজেলায় এ বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ফেল করায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী ইংরেজি বিষয়ে ফেল করেছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর এ উপজেলার ৭টি কলেজের জেনারেল শাখার ১ হাজার ৩৭৯ পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে সান্তাহার সরকারি কলেজের ৮১৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেন ৪৯৬ জন। ফেল করেছেন ৩২২ জন। আদমদীঘি রহিম উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের ১৮০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেন ৯৫ জন, ফেল করেছেন ৮৫ জন। আদমদীঘি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেন ২৮ জন, ফেল করেছেন ১৯ জন। শহীদ আহসানুল হক ডিগ্রি কলেজের ৮১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেন ৪২ জন, ফেল করেছেন ৩৯ জন।

হাজি তাছের আহমেদ মহিলা কলেজের ১১৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেন ৭৭ জন, ফেল করেছেন ৩৬ জন। নসরতপুর ডিগ্রি কলেজের ৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেন ৪২ জন, ফেল করেছেন ২৬ জন এবং চাঁপাপুর জালাল উদ্দীন কলেজের ৭২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেন ৩১ জন, ফেল করেছেন ৪১ জন। সাত কলেজের সর্বমোট পাসের হার শতকরা ৫৮ দশমিক ৮১। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৬। অত্র উপজেলায় বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থী ফেল করায় পাস করা পরীক্ষার্থীদের উৎসব থেমে গেছে। ফেল করা শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। এ ৭টি কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে শ্রেণি পাঠদান না হওয়ায় ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close