নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৮ নভেম্বর, ২০২৩

নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক অনাকাঙ্ক্ষিত : সিইসি

নির্বাচন নিয়ে দেশে যে বিতর্ক হচ্ছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি দ্বিধাবিভক্ত। নির্বাচন নিয়ে দেশ সংকটে আছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নির্বাচনে আমরা বিতর্কহীন ফল দেখতে চাই। ভোটগ্রহণ শেষে সব এজেন্ট যেন ফল গ্রহণ করেন।

গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রথম দফায় ১০৫ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২৮ নভেম্বর ১০৩ জনের এবং ২৯ নভেম্বর তৃতীয় পর্যায়ে ৯২ জনের প্রশিক্ষণ হবে। সুষ্ঠু, অবাধ ও আইনানুগভাবে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ আসনের জন্য নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, আমরা একটি ফ্রি, ফেয়ার ও ক্রেডিবল ইলেকশন চাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনক হলো, এ নির্বাচনে বাইরে থেকে থাবা বা হাত এসে পড়েছে। তারা আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। তাই আমাদের অর্থনীতি, ভবিষ্যৎ, আরো অনেক কিছু রক্ষা করতে নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাকে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র কমেন্ট করতে পারে, আমি কিন্তু ওয়াশিংটনে গিয়ে হুমকি-ধমকি দিতে পারছি না। তবে আমাকে বাঁচাতে হলে, আমার সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে হলে, আমার গার্মেন্ট বাঁচাতে হলে, যে দাবিটা আমাদের বা বাইরের (বিদেশি) খুব বেশি দাবি করেনি। তাদের (বিদেশিদের) একটাই দাবি, বাংলাদেশের নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল হতে হবে।

সিনিয়র সহকারী জজ ও যুগ্ম জেলা জজদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালনে সততা ও সাহসিকতা যেন থাকে। বাংলাদেশ একটা প্রজাতন্ত্র। নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশ কখনো প্রজাতন্ত্র হতে পারে না। প্রজাতন্ত্র মানেই জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা শাসন পদ্ধতি। একনায়কতন্ত্র ও রাজতন্ত্র খুব একটা খারাপতন্ত্র আমরা বলছি না। তবে প্রজাতন্ত্রের শাসনব্যবস্থা সবচেয়ে জনপ্রিয়। গণতন্ত্র বাঁচিয়ে যদি রাখতে হয়, তাহলে নির্বাচন বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

সিইসি বলেন, নির্বাচন ফেয়ারনেসকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিভক্ত হয়ে গেছে এটা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। সেজন্য বলা হয় ইলেকশন ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল বিশ্বাসযোগ্য জিনিস এটা চোখে দেখা যায় না। তারপরও এটাকে বলা হয়, পাবলিক পারসেপশন। নির্বাচন ক্রেডিবল ও ফ্রি হয়েছে কিনা, ওটা পাবলিক পারসেপশন এটার কোনো মানদ- নেই। জনগণকে বলতে হবে নির্বাচন ক্রেডিবল হতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close