আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

  ১২ জুন, ২০২৪

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর

স্লুইস গেটের সংস্কারে সিমেন্টের পরিবর্তে মাটি

স্লুইস গেটের সংস্কারে সিমেন্ট-বালির পরিবর্তে এঁটেল মাটি ব্যবহার করা করা হয়েছে বলে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। মাটি দিয়ে সংস্কারের পর রং দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। হাতের ছোঁয়ায় উঠে আসছে সেসব রংযুক্ত নরম এঁটেল মাটি। এমনই চিত্র দেখা গেছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের মধ্য গণিপুর ও গণিপুর হিন্দুপাড়া এলাকার দুটি স্লুইস গেটে। ওই কাজ সংক্রান্ত তথ্য দিতে গড়িমশি কর্তৃপক্ষের।

স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে মধ্য গণিপুর স্লুইস গেটে দেখা যায়, গত ৪ দিন আগে ওই স্লুইস গেটের সংস্কার করা হয়। সেই সময় স্থানীয়রা মাটি দিয়ে সংস্কার করার বিষয়টি লক্ষ্য করে ও কর্মরতদের সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাও করে। তারা জানায় এভাবেই তাদের কাজ করতে বলা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক নদীতে গোসল করে ওই স্লুইস গেটে ভেজা গায়ে এসে দাঁড়ালে তারা বিষয়টি লক্ষ্য করে।

নাহিদ নামের একজন বলেন, নদীতে গোসল করে এসে ভেজা গায়ে স্লুইস গেটে দাঁড়ালে কাপড়ের পানিতে ওই মাটিগুলো লক্ষ্য করি। পরে দেখি ভাঙ্গা জায়গাগুলো মাটি দিয়ে সমান করে রং দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

অনুসন্ধান করতে গিয়ে একই চিত্র দেখা যায় গণিপুর হিন্দুপাড়া এলাকালার স্লুইস গেটে। গেটের পাশের বাড়ির সেলিনা নামের এক মহিলা বলেন, আমার বাড়ি থেকেই পানি এনে তারা মাটি কাদা করে কাজ করছে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মাটি লাগাতে বলেছে।

তথ্য সংগ্রহকালে রাস্তা দিয়ে যাওয়া বাঁধন নামের এক ভ্যানচালক বলেন, আমি নিয়মিত এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান চালাই। ভ্যান নিয়ে যাওয়ার সময় দেখি তারা কাদা মাটি দিয়ে কাজ করছে। পরে তারা কাদার ওপরেই রং করে দিয়েছে।

ওই কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জয়পুরহাট নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে তথ্য সংগ্রহে গেলে তারা তথ্য দিতে নানা গড়িমশি করে।

জয়পুরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, ওই এলাকায় ৩টি স্লুইস গেটের সংস্কার করছেন জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট এলাকার মেসার্স বিপি ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ওই কাজটির আনুমানিক চুক্তিমূল্য ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিপি ট্রেডার্সের স্বত্বাধীকারী বাবলু মোবাইল ফোনে বলেন, কাজটি আমার লোকজন করেছে। কাদামাটির বিষয়ে আমার জানা নাই। কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখব।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গিয়ে তাকে না পেয়ে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে কল করলেও তা তিনি রিসিভ করেননি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close