সিরাজগঞ্জ ও ফেনী প্রতিনিধি

  ১১ জুন, ২০২৪

সিরাজগঞ্জ ও ফেনী

বেড়েছে গরু চুরি অতিষ্ঠ খামারিরা

সিরাজগঞ্জ ও ফেনীতে আশংকাজনক হারে গরু চুরির বেড়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন ভুক্তভোগী অনেক কৃষক ও খামারিরা। ইতিমধ্যে চক্রের বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলায় চলতি বছরের পাঁচ মাসেই জেলায় ১৯টি গরু চুরির ঘটনায় ৭৬টি গরু ও চারটি মহিষ চুরি হয়েছে। সর্বোচ্চ ৪০টি গরু ও মহিষ চুরি হয়েছে তাড়াশ উপজেলায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত অন্তত ১৯টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ গরু চুরি হয়েছে তাড়াশ উপজেলায়। তাড়াশ থানার তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ মাসে ছয়টি ঘটনায় ৩৬টি গরু ও একটি ঘটনায় চারটি মহিষ চুরি হয়েছে। মামলায় ১৫ জন গ্রেপ্তার হলেও এখন পর্যন্ত চুরি যাওয়া গরু বা মহিষ উদ্ধার হয়নি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সলঙ্গা থানায় পাঁচটি ঘটনায় ১৮টি গরু চুরি হয়েছে। এ ছাড়া কামারখন্দ থানায় তিন ঘটনায় ১৫টি গরু চুরি হয়। এর মধ্যে পাঁচটি গরু উদ্ধার ও পাবনা বেড়া থেকে একটি পিকআপভ্যানসহ তিন চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তাড়াশ থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, গত পাঁচ মাসে ছয়টি ঘটনায় ৩৬টি গরু চুরি ও একটি ঘটনায় চারটি মহিষ চুরি হয়েছে। সব মিলিয়ে মামলা হয়েছে সাতটি। পূর্বে চুরির রেকর্ড ছিল এমন পাঁচজন এবং ট্রাকসহ গরুচোর চক্রের আরও পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে ফেনী প্রতিনিধি জানান, এই জেলাতেও কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে খামারে খামারে গরু চুরির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঈদের আগে চোর-ডাকাতদের হাত থেকে গরু রক্ষায় দিনরাত পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন খামার মালিক ও কর্মচারীরা। গরু চুরি ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, দাগনভূঞা উপজেলার খাঁন অ্যাগ্রো নামে একটি খামারে গত শুক্রবার শ্রমিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৩টি গরু লুটের পর জেলার ছোট-বড় প্রায় পাঁচ হাজার খামারিদের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে। এর আগের দিন গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ পরিচয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল¬ায় লুট হওয়া গরু বোঝাই পিকআপ ফেনীতে জব্দ ও আন্তঃজেলা ছিনতাই চক্রের প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

‘খান এগ্রো ফার্মের’ মালিক মো. দাউদ খান জানান, গত শুক্রবার রাতে ১৫-২০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি পেছনের টিনের বেড়া কেটে খামারে ঢুকে পড়ে। খামারে থাকা ২১টি গরু মধ্যে ১৩টি গরু একটি ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক জানান, কোরবানি মৌসুমে ফেনীতে পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৬ হাজার। বর্তমানে জেলায় মজুদ রয়েছে ৯০ হাজার ২৫০টি পশু।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) দ্বীন মোহাম্মদ জানান, গরু লুটের বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close