গাইবান্ধা প্রতিনিধি

  ০৯ জুন, ২০২৪

গাইবান্ধায় অভিযোগ

সাব-রেজিস্ট্রি অফিস যেন দুর্নীতির আখড়া

তদন্তের দাবিতে দলিল লেখকের সংবাদ সম্মেলন

গাইবান্ধা সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিস জালিয়াতি ও দুর্নীতি আখড়ায় পরিণত হয়েছে। পেঅর্ডার জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল পরিবর্তন করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ফলে গ্রহীতারা দলিল সরবরাহ পাচ্ছেন না। এতে সাধারণ মানুষ নানান সমস্যায় পড়ছেন, বৃদ্ধি পাচ্ছে জমি নিয়ে দাঙ্গাহাঙ্গামা।

এর আগে, দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তা মল্লিক গত বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ধরে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে মোস্তা মল্লিক উল্লেখ করেন, ২০১৪ সাল থেকে দলিল নিবন্ধনের নামে জালিয়াতি ও দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রাক্তন সাব-রেজিস্ট্রার, কতিপয় কর্মচারী ও হাতেগোনা কয়েকজন দলিল লেখক এসব অনিয়ম, জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। তাদের সিক্রেটের কারণে সাধারণ জনগণ চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, দলিল রেজিস্ট্রির যাবতীয় ফি, কর, ট্যাক্স যথারীতি সোনালী ব্যাংক, এনআরসি ব্যাংকে পে-অর্ডারসহ সব শর্ত পূরণ করেও জমি দলিল নিবন্ধন করার পরেও সঠিক সময়ে দলিল সরবরাহ করা হচ্ছে না।

দলিল লেখক সমিতির এই সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, তার সেরেস্তায় বিগত ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ৩৩৩৭ নম্বর কবলা দলিল লেখা হয়, যার দাতা রুবেল মিয়া ও গৃহিতা রবিউল ইসলাম, মূল্য ২৮ লাখ টাকা। ওই ৩৩৩৭ নম্বর কবলা পত্র দলিলে পে-অর্ডারের আয়কর ৩ শতাংশ পৌর কর দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু ভুলবশত পৌরসভার বাইরে ১ শতাংশ জমা হয়। ওইদিন বিকেলে ব্যাংকে জমা দেওয়ার সময় না থাকায় সাব রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসানের শরণাপন্ন হলে তিনি সরকারের নির্দেশমতো আয়করের বাদ পড়া ২ শতাংশ টাকা ৫৬ হাজার ২০০ টাকা অফিস সহকারী মিজানুর রহমান মিজানের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। অফিস সহকারী মিজানুর রহমান মিজান ৫৬ হাজার ২০০ টাকা টাকা গ্রহণ করেন। সাব-রেজিস্ট্রার পরের দিন পে-অর্ডার জমা দেওয়ার ফটোকপি প্রদানের নির্দেশ দেন। কিন্তু বহুবার অনুরোধ করেও পে-অর্ডারের ফটোকপি এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কর্মচারী মিজানুর রহমান মিজানের অপকর্ম নানাভাবে কর্মকর্তারা দেখতে পেয়ে তাকে অপসারণ করেন।

লিখিত বক্তব্যে মোস্তা মল্লিক উল্লেখ করেন, দলিল লেখকদের একটি চক্র, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কতিপয় কর্মচারীর যোগসাজশে পে-অর্ডার জালিয়াতি করে এক দলিলের পে-অর্ডার আরেক দলিলে ব্যবহার করে রেজিস্ট্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। এর বিচার অবশ্যই হতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close