চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

  ০৯ জুন, ২০২৪

ভোলা

চরফ্যাশনে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মিলে চাল ওজনে কম দিয়েছেন অভিযোগ জেলেদের * ঘটনা সত্য হলে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান ইউএনও

ভোলার চরফ্যাশনের হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে নিষেধাজ্ঞা চলকালীন সময়ে সাগরে মাছ শিকারে বিরত থাকা সমুদ্রগামী জেলেদের পুন:বাসনের চাল বিতরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদারসহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ জেলেদের।

গতকাল শনিবার ওই বরাদ্দকৃত চাল বিতরন কার্যক্রম শুরু হয়। ওইদিন দুপুরে ওই ইউনিয়ন পরিষদে চাল ওজনে কম দেওয়ার এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

এ সময় সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রকৃত জেলেদেরকে চাল ওজনে কম দিয়ে ওই চাল জেলে নন এমন বিত্তশালী ব্যক্তিদের কাছে স্লীপের মাধ্যমে ১৫০০ টাকায় চালের স্লীপ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এতে সরকারী বরাদ্দের পাওনা চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নিবন্ধিত কয়েকশ জেলে। চাল না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফেরেন একাধিক ক্ষুব্দ জেলেরা।

মৎস্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের নিবন্ধিত ৩ হাজার ১২৫ জন জেলে রয়েছে। তার মধ্যে সমুদ্রগামী ১৫২০ জেলের জন্য প্রথম কিস্তিতে ৫৬ কেজি করে ৮৫ টন ১২০ কেজি চাল বরাদ্দ হয়। শনিবার ওই বরাদ্দকৃত চাল বিতরন কার্যক্রম শুরু হয়।

সরেজমিন আরো দেখা গেছে, চালের বস্তায় ৫৬ কেজি থাকার কথা থাকলেও ওই চালের বস্তা পরিমাপ করে ৫৬ কেজির স্থলে ৪৫ কেজি চাল দেখা গেছে। এতে ক্ষুব্দ হন জেলে এবং টাকা দিয়ে স্লিপ কেনা ব্যক্তিরা। তাদের দাবি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মিলে চাল ওজনে কম দিয়েছেন।

হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের জেলে মো. জাহাঙ্গীর জানান, বছরের সব সময়ই তারা নদীতে মাছ শিকারে নিয়োজিত থাকেন। ৬৫ দিনের নিষেজ্ঞায় তারা ইলিশ শিকার থেকে বিরত থেকে মানবেতর জীবন যাপন করলেও সরকারী সুবিধাবঞ্চিত তারা। তাদের নামে জেলে কার্ড থাকলেও কখনও পাননি সরকারী বরাদ্দের চালের ছিটেফোঁটা। জেলে জাহাঙ্গীরের মতোই ওই ইউনিয়নের অনেক জেলেরাই নেই সুবিধার আওয়াতায়। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে ধর্ণা ধরেও চাল পাননি তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাক্তিরা জানান, চাল বিতরনের সময় তারা কম টাকায় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের লোকজনের কাছ থেকে তারা ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে স্লীপ কিনে নেন। ওই স্লীপ দিয়েই তারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল সংগ্রহ করে থাকেন।

এদিকে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদারকে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

ওই ইউনিয়নের চাল বিতরনের তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, তার পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। এমন অনিয়মের খবর আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নওরীন হক জানান, জেলে চাল কিক্রি বা জেলে ছাড়া অন্য কারো মধ্যে বিতরন করা হলে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close