বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

  ০৮ জুন, ২০২৪

শার্শার বেনাপোল

তাপপ্রবাহে তালশাঁসে পথচারীদের স্বস্তি

যশোরের শার্শা ও বেনাপোল বাজারে রাস্তার মোড়ে মোড়ে তালশাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে। পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে তালশাঁসের রস। গরমে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করছে বলে মনে করছেন অনেকে।

সরেজমিনে শার্শা ও বেনাপোলের বিভিন্ন এলাকায় তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা গেছে। অনেকে ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরেও বিক্রি করছেন তালশাঁস। আবার অনেকে রোদে রাস্তার পাশে ছাতা টাঙিয়ে বিক্রি করছে তালশাঁস। দিনে রোদের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে তালের শাঁসের চাহিদা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বিক্রি। অনেকেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন রসালো এ ফল।

তালশাঁস বিক্রেতা মো. আজিজ জানান, প্রতিটি গাছ সিজন চুক্তিতে আমরা কিনে থাকি এক থেকে দেড় হাজার টাকায়। তবে ফল বেশি হলে এক গাছ দুই থেকে তিন হাজার টাকাতেও কিনতে হয়। তালের ফলন ভালো হলে, প্রতি গাছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা লাভ হয়। প্রতি পিস তালশাঁসের কোয়া পাঁচ টাকা করে বিক্রি করছে। একটি তাল (তিন কোয়া) দাম ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত।

তালের শাঁস কিনতে আসা আব্দুর রউফ বলেন, এ বছরের প্রথম তালশাঁস খেলাম। তবে আর কিছুদিন পরে এর থেকেও ভালো মানের তালশাঁস পাওয়া যাবে। তালশাঁস খেয়ে এই তীব্র গরমে একটু স্বস্তি মিলছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা মাহাফুজা খাতুন জানান, সুস্বাদু তালশাঁস একটি ভিটামিন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল। তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরে পানিশূন্যতা দূর করে। ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স, যা শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করতে সাহায্য করে। তিনি আরও জানান, কঁচি তালের শাঁস এই বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে খাবারে অরুচি-ভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ত্বককে সুন্দর, উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় করে তুলতে ভূমিকা রাখে তালের শাঁস।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close