কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
নির্বাচনী সহিংসতায় আহত এজেন্টের মৃত্যু, বিচার দাবি
কুমারখালীতে অভিযোগ
![](/templates/web-ps/images/news-logo.jpg?v=4)
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আনারস মার্কা প্রতীকের এক পোলিং এজেন্ট তরিকুল ইসলাম তারিক (৪৫) মারা গেছেন।
গতকাল রবিবার ভোরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুপুরে তরিকুল এর হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী।
তরিকুল ইসলাম তারিক উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ মণ্ডলপাড়া এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ছিলেন।
জানা গেছে, গত ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে কুমারখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে তরিকুল চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আনারস মার্কা প্রতীকের পোলিং এজেন্টের দায়িত্বে ছিলেন। পরে ভোটগণনা শুরু হলে তিনি বিদ্যালয়টির প্রধান প্রবেশপথের সামনে পৌঁছালে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক আদিলুর রহমান লাল (৫০), মধু (৫৪), দুদু (৩৮), সাদ্দাম (৩৫), শাকিল (২৫) সহ ১০ থেকে ১৫ জন হাসুয়া, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় তরিকুল, তার ভাই তারিকুল ইসলাম টরিক (৫০), মৃত আকরামের ছেলে রাশেদ (৪৫) আহত হলে স্থানীয়রা তাদের কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তরিকুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গত ২৩ মে ১২ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন তরিকুলের ভাই টরিক।
বিক্ষোভে মেয়ে তামান্না খাতুন করে জানান, তার বাবাকে অন্যায়ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আসামীদের শাস্তি চান।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম আকিব এ বিষয়ে জানান, এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আগেই থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
"