চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ২২ মে, ২০২৪

কাস্টমসের সাবেক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) আবদুল বারিক ও তার স্ত্রী ফেরদৌস ইয়াসমিন খানমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত সোমবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর উপসহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন এ দম্পতির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক মো. নাজমুল ছায়াদাৎ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়। এরমধ্যে একটি মামলায় শুধু সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা আবদুল বারিককে ও অপরটিতে তাকে ও তার স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত আবদুল বারিক নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার রশিদপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন।

আবদুল বারিকের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সম্পদ বিবরণী জমা দেন আবদুল বারিক। এতে তিনি ৩ লাখ ৮ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৩ লাখ ৮ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদই অর্জন করেছেন। এছাড়া দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৪২ লাখ ২৪ হাজার ৬৭৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন।

তবে দুদকের যাচাইয়ে দেখা যায়, আবদুল বারিক ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬০০ টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিক। এক্ষেত্রে তাকে ১ কোটি ২৩ লাখ ১৪ হাজার ৯২২ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য সম্পদ বিবরণীতে গোপন করেছেন।

এদিকে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আবদুল বারিকের ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩৯ হাজার ৬০০ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। দায় রয়েছে ১২ লাখ ৯৭ হাজার ৩২৮ টাকা। সেই হিসাবে তার কাছে সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার ২৭২ টাকা। পারিবারিক ব্যয় ও অন্য ব্যয়সহ তার ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮ হাজার ৯৭৮ টাকার সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে তার গ্রহণযোগ্য আয় ১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৬ হাজার ৮২২ টাকা। এক্ষেত্রে তার সম্পদের চেয়ে আয়ের উৎস ৭০ লাখ ৬২ হাজার ১৫৬ টাকা কম। অতএব তিনি ৭০ লাখ ৬২ হাজার ১৫৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন।

এছাড়া আবদুল বারিক ও তার স্ত্রী ফেরদৌস ইয়াসমিন খানমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ফেরদৌস ইয়াসমিন তার স্বামীর সহযোগিতায় ১ কোটি ৯২ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন। সেইসঙ্গে ৩২ লাখ ২৬ হাজার ৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। স্বামীর অবৈধ আয়ে অর্জিত অর্থ বৈধ করার অপচেষ্টা করে ওই সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন ফেরদৌস ইয়াসমিন খানম বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close