পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীতে অভিযোগ
স্বাক্ষর না দেওয়ায় অধ্যাপককে পিটিয়ে আহত করলেন অধ্যক্ষ
![](/templates/web-ps/images/news-logo.jpg?v=4)
পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন পূর্ব বাদুড়া আলিম মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে একই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাওলানা নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গত রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় প্রিন্সিপাল নাজিম ও তার সহযোগী একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক জাহিদ হোসেন, শামীম সিকদার ও রাসেল একত্রে সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীরের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হামলার শিকার পূর্ব বাদুড়া আলিম মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম জানান, কিছু দিন আগে থেকেই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বিভিন্নভাবে তাকে দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। তিনি স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করলে রবিবার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মিলনায়তনে সব শিক্ষকদের সামনে তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায় তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এর আগেও অনেকবার অধ্যক্ষ তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির সহকারী মোলভী ও প্রত্যক্ষদর্শীর মো. আবুল কাশেম বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে একটি ব্যাংক রেজুলেশনে স্বাক্ষর দেওয়া নিয়ে অধ্যক্ষ এবং তার কয়েকজলোক সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর স্যারকে মারধর করে।
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম এর স্ত্রী ও বড় আউয়ালিয়াপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রাশিদা বেগম জানান, বিষয়টি জানতে পেরে তিনি তার নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদকে জানান। পরে হারুন অর রশিদ ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাওলানা নাজিম উদ্দিনকে কল করলে তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরের কিছু হয়নি তিনি সুস্থ আছেন।’ এরপরে রাশিদা তার স্বামীর প্রতিষ্ঠানে যান। তিনি সেখানে গিয়ে তার স্বামীকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। পরে অ্যাম্বুলেন্স খবর দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ ঘটনা তিনি পুলিশকে অবহিত করেছেন।
এ বিষয় জানতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মাওলানা নাজিম উদ্দিন এর সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে কেটে দেন ও পরবর্তীতে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি সভাপতি হুমায়ুন কবির জানান, তদন্ত সাপেক্ষে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগের পরিপেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগেও অধ্যক্ষ ও আউলিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মাওলানা নাজিম উদ্দিন এর বিরুদ্ধে এ ঘটনা ছাড়াও থানায় মামলা রয়েছে।
"