সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৬ মে, ২০২৪

সিরাজগঞ্জ

কোরবানির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ৬ লক্ষাধিক পশু

সামনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের নয় উপজেলায় কোরবানির জন্য খামারে মোটাতাজা করা হচ্ছে ৬ লাখ ২৪ হাজার ৯২৮টি গবাদি পশু। বাকি পশুর মধ্যে রয়েছে মহিষ ও ভেড়া। বাড়তি লাভের আশায় খামারের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে পশুর বাড়তি যত্ন আর লালন পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও প্রান্তিক কৃষকরা। তবে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে পশুর দাম বৃদ্ধির শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

জেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় খামার গুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া মোটাতাজা করেছে। এ বছর জেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা ২ লাখ ১৭ হাজার ৮৫০টি। এই চাহিদা মিটিয়ে চার লক্ষাধীক পশু সারা দেশে যাবে। এসব পশু মোটাতাজাকরণে খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার যাতে ব্যবহার না করে এজন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে।

খামারিরা জানান, খামারিরা নিজ বাড়ি ও খামারে বছর জুড়ে গবাদি পশুগুলো লালন-পালনের মাধ্যমে মোটাতাজা করেন। খামারিরা গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি তুলে ধরে বলেন, ৩৭ কেজি ওজনের এক বস্তা গমের ভুষির বর্তমান বাজার মূল্য ২ হাজার ২০০ টাকা। ৭৪ কেজির এক বস্তা খৈল এখন ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। ৫০ কেজির ধানের কুঁড়ার দাম ৮০০ টাকা। খেসারি ও ছোলার ভুষির দামও বেড়েছে।

সদর উপজেলার কালিয়া কান্দাপাড়ার আব্দুুর রহমান জানান, এ বছর কোরবানির জন্য ৪৫টি ষাড় প্রস্তত করেছি। কিন্তু গো-খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে তাদের এবার বড় ধরনের লোকসান গুণতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন। সদর উপজেলার বেজগাঁতীর খামারি সাইফুল বলেন, এ বছর বিক্রির জন্য ৬টি ষাড় প্রস্তুত করেছি। গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে আছি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর ফারুক জানান, প্রতিটি উপজেলার খামার পরির্দশন করে খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ ওষুধপত্র দেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। গবাদিপশু ক্রেতা এবং বিক্রেতারা যেকোনো ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এবং কিউআর কোড ব্যবহার করে ই-ব্যাংকিং লেনদেন সেবা গ্রহণ করতে পারবে। জেলায় ৩১টি স্থায়ী ও বিভিন্ন অস্থায়ী পশুর হাটের মাধ্যমে এসব গবাদি পশু বিক্রি করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close