কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

  ১৬ মে, ২০২৪

কালীগঞ্জে অভিযোগ

প্রচারে ভাতিজার সমর্থককে পেটাল চেয়ারম্যান প্রার্থী চাচা

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী রাকিবুজ্জামান আহমেদের সমর্থককে মারধর ও নারী কর্মীদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহবুবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী রাকিবুজ্জামান আহমেদ (আনারস মার্কা)।

এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশীরাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই ঘটনার পরেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহুরুল ইমামসহ কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের এমপি ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও তার সহোদর ছোট ভাই সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদের মধ্যেই। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হচ্ছেন তারিকুল ইসলাম ওরফে তুষার। মঙ্গলবার বিকেলে কাশীরাম গ্রামে নির্বাচনী প্রচার করতে যান রাকিবুজ্জামানের কর্মীরা। এ সময় তার সমর্থকদের পথ আটকায় অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহাবুবুজ্জামান ও তার দুই ছেলে। পরে রাকিবুজ্জামানের কর্মী মেহরাবুর রহমান ওরফে কাজী আদেলকে প্রকাশ্যে থাপ্পর দেন মাহাবুবুজ্জামান। এছাড়া উপস্থিত রাকিবুজ্জামানের স্ত্রী ও ফুফুসহ নারী কর্মীদের আপত্তিকর ভাষায় গালমন্দসহ হুমকি দেন মাহবুবুজ্জামান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী সমর্থক কাজী আদেল সাংবাদিকদের বলেন, রাকিবুজ্জামানের নির্বাচনী কাজ করায় তাকে প্রকাশ্যে থাপ্পর দেন অপর প্রার্থী মাহাবুবুজ্জামান। এ সময় নারীকর্মীদের আপত্তিকর ভাষায় গালমন্দসহ হুমকি দেন তিনি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী রাকিবুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘এ ঘটনায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি তারা তদন্ত করে মাহাবুবুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।’

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুবুজ্জামান বলেন, ‘সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর বোন চায়না চৌধুরী এলাকায় এসে ভোট চাইছেন। এ বিষয়ে নিষেধ করতে গিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। তারা যে অভিযোগ করছেন সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম বলেন, ‘খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হয়েছে। আমার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তদন্তলিপি পাঠাব।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close