কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

  ১৫ মে, ২০২৪

গাজীপুরের কালীগঞ্জ

থেমে নেই উর্বর মাটি কাটা ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত প্রশাসন

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বেশ কয়েক মাস ধরে কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কয়েকটি চক্র। এতে যেমন জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্যও। ইতিমধ্যে বিভিন্ন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসন একাধিকবার অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তিকে জেল-জরিমানা করলেও থামছে না এই মাটি কাটা। তবে স্থানীয় অনেক রাজনীতিক নেতারা নিজেদের অন্তঃকোন্দলে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলে প্রশাসনকে ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত করছে বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম ইমাম রাজী টুলুর সঙ্গে কথা হলে এবং গত সোমবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা মাসিক সভায় বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে। স্থানীয় বিভিন্ন গোপন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রশাসন গুরুত্ব দিয়ে অভিযান চালালেও ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে ঘটনার কোন মিল নেই বলে জানা যায়।

জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমি উঁচু-নিচু হওয়ার কারণে অনেক কৃষক নিজ উদ্যোগে সেগুলো সমান করার ব্যবস্থা করেন। অনেকে নিজেদের নতুন বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে কৃষি জমির মাটি কেটে সেখানে ফেলছে, কেউবা বর্ষা ও বন্যার পানি থেকে রক্ষার জন্য নিজেদের বাড়ি উঁচু করছেন। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বিভক্তির কারণে এবং তাদের নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলে প্রশাসনকে ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত করছেন বলে জানা যায়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত মাসের ২৪ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার জামালপুর, জাঙ্গালিয়া, বক্তারপুর, মোক্তারপুর ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে ৫টি ভেকু ও ৫টি লড়ির ব্যাটারি জব্দ করা হয়। এছাড়া কৃষি জমি থেকে মাটি তোলা ও বিক্রি বন্ধ করা হয়। চলতি মাসের ৪ মে উপজেলার জামালপুর, কাপাইস ও বড়হরা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয় এবং পাঁচটি মামলায় ৫ জনকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত সোমবার বিকেলে উপজেলা বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে একজনকে ৫০ হাজার টাকা ও একজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। সবগুলো অভিযান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম ইমাম রাজী টুলু।

ইউএনও এস এম ইমাম রাজী টুলু জানান, যখনই মাটি কাটার খবর পেয়েছেন তখনই অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করেছেন। ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রায়ঃশই প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এখন থেকে ভুল তথ্যদাতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। তবে সঠিক তথ্য দিলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সবাইকে আশ্বস্ত করেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close