বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

  ১৫ মে, ২০২৪

শার্শায় অভিযোগ

সাত মাইল পশুহাটে খাজনা আদায়ে অনিয়ম

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাত মাইল পশুহাটের খাজনা আদায়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানা গেছে।

বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক সাতমাইল পশুহাটের খাজনা আদায়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সম্প্রতি যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু তাদের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে জোর করে পশুহাট থেকে লাখ লাখ টাকা খাজনা আদায় করছে। প্রতি হাটে প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা আদায় হলেও সরকারের কোষাগারে জমা পড়ছে মাত্র দুই লাখ টাকা।

জানা যায়, দক্ষিণ বঙ্গের সব থেকে বড় পশুহাট শার্শার সাত মাইল পশুহাট। এখানে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার দুই দিন হাট বসে। বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল বেচাকেনা হয়। সরকারিভাবে প্রতি বছর মোটা অঙ্কের টাকায় এ হাট ইজারা দেওয়া হয়। গত বাংলা ১৩৩০ সালে (২০২৩) সাত মাইল পশুহাটের ইজারা ডাক ছিল সাড়ে ১০ কোটি টাকা। তবে নতুন বছর ১৩৩১ সালে (২০২৪) এ হাটের কোনো ডাক বা ইজারা হয়নি। যে কারণে আগের ইজারাদারেরা সরকারি আইন অমান্য করে হাটের খাজনা আদায় করছে।

জানা যায়, হাটে বিক্রির জন্য প্রতি পশু থেকে ১৫০ টাকা খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। যার প্রতিটি পশুর খাজনা আদায় করা হচ্ছে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা করে। এছাড়া, হাটে তিন হাজার ব্যবসায়ীকে প্রতি এক বছরের জন্য তিন হাজার পাশ দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেও আদায় করা হয়েছে প্রচুর টাকা।

হাটের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শার্শার এক শীর্ষ জনপ্রতিনিধির মদদে সাত মাইল পশুহাট দখল করা হয়েছে।

বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল বলেন, সাত মাইল পশুহাট সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।

কায়বা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তফা ফিরোজ আহম্মেদ টিংক বলেন, এ বছর সাত মাইল পশুহাট ইজারা হয়নি। শার্শা উপজেলা প্রশাসনকে হাটের খাজনা আদায়ে কিছুটা সহযোগিতা করি। টাকা পয়সার ব্যাপারে আমি জড়িত না।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার রাজবংশীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন বছরে সাত মাইল পশুহাটের ইজারা বা ডাক হয়নি। যে কারণে ৭ সদস্য বিশিষ্ট খাজনা আদায় কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া, সরকারিভাবে জনবলের অভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে খাজনা আদায় করা সম্ভব নয়। কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close