আব্দুর রউফ, ধামরাই (ঢাকা)

  ১৫ মে, ২০২৪

ধামরাইয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর, প্রার্থীকে ধাওয়া

ঢাকার ধামরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পের ভাঙচুর ও প্রার্থীকে ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের চরসুঙ্গর বাজারে ওই নির্বাচনী ক্যাম্পে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক-কর্মীরা ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের চরসুঙ্গর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যারয়ের মাঠে এমন ঘটনাটি ঘটে।

আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবদুল লতিফ তার সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প পরিদর্শন করে চরসুঙ্গর সরকারি স্কুলে মাঠে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করার অভিযোগ তুলে মোটরসাইকেল প্রার্থীর সমর্থকদের উল্লেখ্য করে বক্তব্য দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবদুল লতিফের গাড়ি বহরকে ধাওয়া করেন লোকজন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরসুঙ্গর বাজারের পশ্চিম পাশে একটি টিনের ঘর ভাড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প তৈরি করেন আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। সেই ক্যাম্প মোটরসাইকেল মার্কার কর্মী-সমর্থ ও স্থানীয় কিছু লোকজন ভাঙচুর করে তালা লগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে সেখানে যান আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবদুল লতিফ। ভাঙচুর করা ক্যাম্প পরিদর্শন করে স্কুলের মাঠে বক্তব্য দেওয়ার সময় একদল লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে আবদুল লতিফকে ধাওয়া দিলে তিনি সেখান থেকে চলে যান। তবে সেখানে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল লতিফ বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে চরসুঙ্গর এলাকার মেছের আলী ও তার ভাই মো. আক্কাছ আলীসহ তাদের লোকজন চরসুঙ্গর বাজারে আমার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেন। আমি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভাঙচুর করা নির্বাচনী ক্যাম্প পরিদর্শন করে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল প্রার্থীর লোকজন আমার গাড়িবহরে দাওয়া করে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর কঠিন বিচার দাবি করছি। আমার নেতাকর্মীদের কোনো রকম সংঘর্ষে জড়াতে মানা করলে তারা সেখান থেকে চলে যায়।

মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী মো. মেছের আলী বলেন, মঙ্গলবার চরসুঙ্গর বাজারে আনারস মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবদুল লতিফ না জেনে আমাকে ও আমার ভাইকে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙার অপবাদ দেন। এ জন্য আমার লোকজন লতিফ ভাইকে এমন বক্তব্য দেওয়ার দিতে মানা করে। কিন্তু তিনি তা না মেনে বক্তব্য দেন। এতে এলাকার লোকজন তাদের ওপর চড়া হয়ে সেখান থেকে যেতে বলে।’

জানতে চাইলে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবদুল লতিফকে ধাওয়া খবর ফোনে পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিল। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খান মোহাম্মদ আবদুল আল মামুন বলেন, ‘আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. আবদুল লতিফ ফোনে তার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও ধাওয়ার বিষয়ে আমাকে জানিয়েছেন। আমি তাকে লিখিতভাবে রিটাং কর্মকর্তার বরাবর একটি অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close