এএফএম মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি (বগুড়া)

  ১২ মে, ২০২৪

বগুড়ার আদমদীঘি

ধান বেচে উঠছে না খরচ দুশ্চিন্তায় বোরো চাষিরা

আদমদীঘিতে এবার ধানের ভালো ফলন হলেও দাম কম হওয়ায় কৃষকরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। চলতি ইরি-বোরো মৌসুম ছিল কৃষকদের জন্য সর্বোচ্চ খরচের বছর। সেচযন্ত্রের জ্বালানি ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম ছিল রেকর্ড পর্যায়ে। এবারে খরার কারণে সেচও লেগেছে অনেক বেশি। একই সঙ্গে বেড়েছে সার, কীটনাশকসহ শ্রমিকের মজুরি। অথচ সীমাহীন খরচের এই মৌসুম শেষে ধানের কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না কৃষক। দিন দিন কমেই চলেছে ধানের দাম। এলাকার ফরিয়া ধান ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিদিন ধানের দাম মণ প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা হারে কমছে। এতে করে উৎপাদন খরচই উঠছে না বলে দাবি কৃষকদের।

জানা যায়, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, এ বছর প্রতি মণ বোরো ধান উৎপাদনে খরচ হয়েছে প্রায় ১ হাজার ১৫০ টাকার বেশি। কিন্তু দেশের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে এলাকাভেদে সরু জাতের ধানের দাম ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা।

কৃষকরা বলছেন, গত বোরো মৌসুমে এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে বোরো উৎপাদনের খরচ ছিল ১০ থেকে ১১ হাজার টাকার মধ্যে, যা এ বছর সেচ, সার, কীটনাশক ও মজুরি বাড়ায় দাঁড়িয়েছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকায়।

উপজেলার কেশরতা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সার ও সেচের খরচ বেশি হওয়ায় ধার করে ধান চাষ করতে হয়েছে এবার। পাওনাদারের তাগাদায় বাধ্য হয়ে কম দামে বাজারে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে।

আদমদীঘি নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আফরোজ বলেন, উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। ধানের ফলনও বেশ ভালোই। কী কারণে ধানের দাম কমছে তা সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close