সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

  ১২ মে, ২০২৪

সরাইল

৭০০ ফুটের বাঁশের সাঁকোই ভরসা ১২ গ্রামের মানুষের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চেত্রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হয়নি। ফলে অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের ১২ গ্রামের মানুষের জন্য ৭০০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের তৈরি নড়বড় সাঁকোই একমাত্র ভরসা। সেতু না থাকায় এই দুই ইউনিয়নের মানুষ পারাপারে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে জানান উপজেলা প্রকৌশলী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সরাইল উপজেলার উত্তর প্রান্তের হাওরবেষ্টিত অরুয়াইল বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে চেত্রা নদী। কৃষি নির্ভর অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের ১২ গ্রামের মানুষকে চেত্রা নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো পার হয়ে উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়।

স্থাানীয়রা জানান, উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রানিদিয়া, অরুয়াইল, কাকরিয়া, বড় কাকরিয়া বনিয়ারটেক, রাজাপুর, সিঙ্গাপুর এবং পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর, ফতেহপুর, হরিপুর, বড়ইছাড়া ও ষাটবাড়িয়া গ্রামে অর্ধলক্ষাধিক লোক বাস করেন। অরুয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ, অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, পাকশিমুল হাজী শিশু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, অরুয়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রানিদিয়া মহিলা মাদরাসা, অরুয়াইল ফুলকলি কিন্ডারগার্টেন ও রানিদিয়া এশায়েতুল উলুম মাদরাসার সহস্রাধিক শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন দুই-তিন হাজার নারী-পুরুষ ওই সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। এজন্য জনপ্রতি দুই টাকা করে ভাড়া দিতে হয়।

অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, ওইখানে রয়েছে অনেক দোকানপাট। অরুয়াইল বাজার ও আশপাশেই রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি ডাকঘর, ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়, পুলিশ ফাঁড়ি, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক-বীমা, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ প্রায় সাত শতাধিক দোকানপাট রয়েছে। কিন্তু সেখানে একটি স্থায়ী সেতু না থাকায় দুর্ভোগে আছেন মানুষ।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান জানান, চেত্রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনের পর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close