পাবনা গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কক্ষে ঢুকে নির্বাহী প্রকৌশলীকে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা-পুলিশ।

গতকাল শনিবার সকালে তাদের পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরকারি বিভিন্ন কাজে ঠিকাদারি অনৈতিক ও অবৈধভাবে না পেয়ে ওই হুমকে দেন বলে জানা গেছে।

এদিকে বুধবার দুপুরে পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কক্ষে কর্মকর্তাদের মারধরের চেষ্টা ও হত্যার হুমকির ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার রাতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় ৪ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। তবে বিষয়টি গতকাল আসামি গ্রেপ্তারের পর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকর্মীদের নজরে আসে। গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন পাবনা পৌর এলাকার চক গোবিন্দার চাঁদমারি এলাকার ঠিকাদার রোকনুজ্জামান তুষার ও কালাচাঁদপাড়ার বাসিন্দা মো. আকাশ। পলাতক আসামিরা হলেন পাবনা পৌর এলাকার চকছাতিয়ানি এলাকার বাসিন্দা রাজিবুল হাসান রাজিব, কৃষ্ণপুরে রনা বিশ্বাসসহ অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৮ মে) পাবনা গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিজ কক্ষে সভা করছিলেন পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম। দুপুর একটার দিকে রাজিব ও তুষারের নেতৃত্বে ১৪-১৫ জন ওই কক্ষে ঢুকে বিভিন্ন কাজের ঠিকাদারি নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রশ্ন করেন। এ সময় বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ দাবি করেন তারা। দাবি না মানায় নির্বাহী প্রকৌশলীকে গালিগালাজের পর মারধরের চেষ্টা করা হলে অন্যরা বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকৌশলীদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান অনুপ্রবেশকারীরা। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে বুধবারের ঘটনায় শুক্রবার রাতে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওনা হয়। রাতে মামলা রেকর্ড হওয়ার পরই অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও মামলার বাদী আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘তারা ঠিকাদার (রাজি-তুষার), ঠিকাদারি কাজ করেন। সেদিন যা ঘটেছিল তা থানায় দেওয়া এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বাইরে কিছু নেই।’

জানতে চাইলে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘অভিযোগের পর মামলা হয়েছে। এর পরই অভিযান চালিয়ে রোকনুজ্জামান তুষার ও মো. আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বাকিদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

"