কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

  ২০ এপ্রিল, ২০২৪

রংপুরের কাউনিয়া

অজানা ভাইরাসে সপ্তাহের ব্যবধানে ৭ গরুর মৃত্যু

রংপুরের কাউনিয়ায় সপ্তাহের ব্যবধনে অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭ গরুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, এলাকার শতশত গরু ছাগল একই ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই অজানা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু ছাগল। ইতোমধ্যে ৭ গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কী কারণে এসব গরুর মৃত্যু হচ্ছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে অনেকের ধারণা, খুরা রোগ, লাম্পি স্কিন ডিজিজ ও হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হতে পারে।

খামারি ও চাষিরা জানিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসা না পেয়ে বাধ্য হয়ে তারা গ্রাম্য চিকিৎসক, কবিরাজ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন।

জানা গেছে, শহীদবাগ সাব্দী হইড্ডাপাড়া গ্রামের আশরাফুলের ৩, দেলওয়ারের ১, আনোয়ারুলের ১ ও বালাপাড়া হলদীবাড়ীর খলিলের ২টিসহ ৭টি গরু মারা গেছে।

চাষিরা জানায়, অসুস্থ হওয়ার পর গরু ছাগল ঠিকমতো খায় না। জ্বর-কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এরপর হঠাৎ করেই মারা যাচ্ছে।

শহীদবাগের খামারি পেয়ারী বেগম জানান, তার ২ লাখ টাকা দামের ১টি গাভি ও ২টি বকনা বাছুর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। তার অভিযোগ, যোগাযোগ করা হলেও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কোনো লোক খামারে আসেননি।

একই গ্রামে প্রায় শতাধিক গরু লাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হয়েছে।

নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক জানান, খুরা রোগের ভ্যাকসিন কেনার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, উপজেলাজুড়েই ওই রোগ দেখা দিয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুমি বেগম জানান, তিনি এ রোগ সম্পর্কে অবগত আছেন কিন্তু গরু মারা যাওয়ার বিষয়টি জানেন না। বৃষ্টি অথবা শীত পড়লে এ রোগ কমে যাবে। এ রোগ প্রতিরোধে সোডা, প্যারাসিটামল এবং টিকা দিতে হবে।

জেলা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা আমবার আলী বলেন, এক সঙ্গে এত গরুর মৃত্যুর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এখন পর্যন্ত কেন আমাদের লোক যায়নি সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে অবহিত করব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close