টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চার রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে দুই পক্ষকেই ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বাসস্ট্যান্ড এলাকার সাধারণ মানুষকেও আতঙ্কিত হয়ে এদিক সেদিক ছুটোছুটি করতে দেখা যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

মধুপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ছারোয়ার আলম খান আবু খান বলেন, ‘সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের লোকজন আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রচারণায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছয়জনকে আহত করে। পরে আমার সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর তারা পুলিশ পাহারায় এসে আমাদের নির্বাচনী অফিস, বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে। আমার আহত সমর্থকরা এখন ঘাটাইলের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

ছারোয়ার আলম খান আবু খান আরো অভিযোগ করে বলেন, ‘ড. আবদুর রাজ্জাকের সরাসরি নির্দেশে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে।’

এ বিষয়ে জানতে সাবেক মন্ত্রী সমর্থক মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আহত ও ভাঙচুরের বিষয়ে কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি।

"