সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
গরম-লোডশেডিং অতিষ্ঠ জনজীবন
সিরাজগঞ্জে গরম ও ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের প্রখরতাও। দাবদাহের কারণে দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তীব্র গরমে মজুররা কাজে বের হতে পারছেন না। অনেকেই কাজে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বলে জানিয়েছে তাড়াশ আবাহাওয়া অফিস।
দাবদাহে প্রাণিকুলও ব্যাকুল হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন। বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচণ্ড রোদে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে কাজ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের। ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন।
সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামের কৃষক হানিফ বলেন, রোদের তেজের কারণে কাজ করতে পারছি না। গত কয়েকদিন প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এ অবস্থা থাকলে গরমে ধান কাটা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
বেলকুচির তাঁত শ্রমিক মানিক, আলামিন বলেন, গরম সহ্য করতে না পেরে শিশুসহ সব বয়সীরা দিনে ২ থেকে ৩ বার গোসল করছেন।
সিরাজগঞ্জ শহরের মেডিনোভা হাসপাতালের পরিচালক, ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিরাতুন্নেছা হাসপাতালের সাবেক আরএমও ডা. আকরামুজ্জামান বলেন, এই গরমে নানা বয়সীদের জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে।
"