আকিব হোসেন খান, কিশোরগঞ্জ

  ০১ এপ্রিল, ২০২৪

কিশোরগঞ্জে উপজেলা নির্বাচন

প্রার্থী হতে আ.লীগ-বিএনপির শতাধিক নেতার দৌড়ঝাঁপ

৮ মে প্রথম ধাপে কিশোরগঞ্জ সদর, পাকুন্দিয়া ও হোসেনপুরে হবে ভোট

দেশে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কিশোরগঞ্জে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। জেলা সদরসহ তিনটি উপজেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তিনটি উপজেলায় ডজনের বেশি চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রচারে নেমে পড়েছেন। জানান দিচ্ছেন নিজেদের উপস্থিতি।

জানা যায়, প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, ৮ মে প্রথম ধাপে কিশোরগঞ্জ সদর, পাকুন্দিয়া ও হোসেনপুর উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে তাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এসব উপজেলায় তফসিল ঘোষণার পর থেকে কারা প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ।

পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ভোটারদের সমর্থন নিয়ে আগে থেকেই আমি নির্বাচনী মাঠে কাজ করছি। দল যদি কঠোরভাবে বাধা না দেয়, তাহলে নির্বাচন করব।’

নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন হোসেনপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলমও। তবে জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বিএনপি প্রত্যাখ্যান করতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিএনপি সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে। ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে না আসতে পারে সেজন্য প্রচারপত্র বিলসহ নানা কৌশল অবলম্বন করছে। জনগণও নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। উপজেলা পরিষদের নির্বাচনেও এমনটি হতে পারে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল বলেন, যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে আসছে না, তাই একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতেই কৌশল হিসেবে দলীয় প্রতীক নৌকা রাখা হচ্ছে না।

নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পরের দিন গতকাল রবিবার থেকে সর্বত্র সম্ভাব্য প্রার্থী এবং তাদের কর্মীদের তৎপরতা দেখা গেছে।

সম্ভাব্য বিভিন্ন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মামুন আল মাসুদ খান আবারও প্রার্থী হবেন। রবিবার থেকে সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে তিনি প্রচার চালান। এ ছাড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রিফাত উদ্দিন আহমেদ প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রবিবার উপজেলার কোদালিয়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। এছাড়া এ উপজেলা থেকে জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মকবুল হোসেন, স্থানীয় হাজী জাফর আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আতাউর রহমান প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন।

হোসেনপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল আবারও প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এছাড়া এখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ মাহবুবুল হক, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম, নারী ভাইস চেয়ারম্যান রৌশনারা চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে ইচ্ছুক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close