মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

  ৩১ মার্চ, ২০২৪

কুমিল্লার মুরাদনগর

উর্বর মাটি ইটভাটায় নিতে নদীতে বাঁধ

সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত স্থানীয় ইউপি সদস্য * এভাবে চলতে থাকলে ফসলি জমি বিলীনের শঙ্কা কৃষকদের

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল পূর্ব পাড়া খিড়া নদীতে (সরু নদী) রাস্তা দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। ওইসব মাটি যাচ্ছে ইটের ভাটায়। পানি চলমান নদীতে বাঁধ নির্মাণে ব্যাহত হচ্ছে ওই ইউনিয়নসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ ফসলি জমি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন জানার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় কৃষকদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার দারোরা ও ধামঘর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গেছে খিড়া নদী। এক সময় এ নদী দিয়ে যাত্রীবাহী ও মালবাহী শত শত নৌকা এবং ট্রলার চলাচল করতো। বর্তমানে দারোরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি মাটিখেকো সিন্ডিকেট নদীর মাঝে বাঁধ নির্মাণ করে। বাঁধের উপর দিয়ে প্রতিদিন ৮-১০টি ট্রাক্টর কৃষি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি জোগান দিচ্ছে।

কয়েকজন কৃষক জানায়, ভূমিখেকো ইটভাটার মালিকরা আমাদের এ রুটি রুজিতে আঘাত করছে। এরা যেভাবে কৃষি জমি নষ্ট করছে, তাতে কিছুদিন পর আর জমি খোঁজে পাওয়া যাবেনা। প্রশাসন যদি এখনই পদক্ষেপ না নেয় করে ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাবে।

এদিকে দারোরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার হাবিবুর রহমান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এই জমির মালিক আমার ভাই। সে বিদেশ থাকে। জমি গুলো দেখা-শোনার দায়িত্বে আমি রয়েছি। ভাই নিজেই মাটি বিক্রি করেছে।’

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি নাসরিন সুলতানা নিপা এ বিষয়ে বলেন, বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বিষয়। বিষয়টি খবর নিয়ে খুব দ্রুত নদীটি খুলে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close