ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ০৫ মার্চ, ২০২৪

সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে ভারতীয় গরুর মাংস, স্বাস্থ্যঝুঁকি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরুর মাংস অবাদে ঢুকছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সীমান্তের ওপারে জবাই করা এসব গরু মরা না অসুস্থ নিশ্চিত হওয়া না গেলেও গ্রামের বিভিন্ন হাটবাজারে মিলছে ভারতীয় গরুর মাংস। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

উপজেলার বাগভান্ডার গ্রামের বাসিন্দা সৈকত মাহমুদ ও ভোটহাট গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুক জানান, উপজেলার ভোটহাট, পাথরডুবী, বাঁশজানি ও শিলখুড়ী সীমান্ত দিয়ে অবাধে ভারতে জবাই করা গরুর মাংস দেশে ঢুকছে। আর তা কয়েক হাত বদল হয়ে চলে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয়। মাংস তাজা রাখতে রাসায়নিক মিশিয়ে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে একটি চক্র। বাইসাইকেলে ঘুরে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে এসব মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। দেশি গরুর মাংস যেখানে বিক্রি হয় ৭০০ টাকা কেজি। সেখানে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম রাখা হয় ৪৫০-৪৮০ টাকা। গরুর সঙ্গে ঘোড়ার মাংস মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সীমান্তের একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে উপজেলা পরিষদের গেট সংলগ্ন জামতলা মোড়ে আশরাফুল নামের এক যুবক বাইসাইকেল যোগে বাজার ব?্যাগে পলিথিনের পোটলায় ভারতীয় গরুর মাংস বিক্রি করার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে তাকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে সোপর্দ করে। ওই যুবক সদর ইউনিয়নের ভোটহাট গ্রামের সাগর আলীর ছেলে।

সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা আমিনুল, বাশার ও সৈকত মাহমুদ জানান, সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু পারাপারের সময় কিছু গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন ওই সব গরু জবাই করা হয়। কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সুস্থতার সনদ ছাড়াই এ সব মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এতে বিভিন্ন রোগ বালাই বাড়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ?্য কমপ্লেক্সের সেনেটাটারী ইনসপেক্টর আবু বক্বর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কাজ তবে আমরাও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।

বিজিবির বাগভান্ডার কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মন্জুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে জেনে ব?্যাবস্থা নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া জবাইকৃত গরুর মাংস খেলে কী ধরণের ক্ষতি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শামীমা আক্তার জানান বলেন, ওই সব মাংস খেলে বিভিন্ন ধরণের রোগ হতে পারে। যদি গরুটির এনথ্রাকস রোগ থেকে থাকে তাহলে সেই মাংস খেলে মানুষের সেই রোগ হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা হলো অবৈধভাবে মাংস আসার কারণে বড় ধরণের অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। সকলের সম্মেলিত চেষ্টায় অবৈধ পথে গরুর মাংস আসা বন্ধ করতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close