গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
২০ মাস পর মাফিজুল হত্যার রহস্য উন্মোচন
নাটোরের গুরুদাসপুর
নাটোরের গুরুদাসপুরে ২০ মাস পর পরকীয়া প্রেমের জেরে খুন হওয়া মাফিজুল ইসলাম (২৮) হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ তথ্য জানায় পুলিশ।
নিহত মাফিজুল গুরুদাসপুর পৌরশহরের চাঁচকৈড় খলিফা পাড়া মহল্লার আজাদ প্রামাণিকের ছেলে। আর তানজিলা (৩৫) চাঁচকৈড় পুড়ান পাড়ার বাসিন্দা।
এর আগে, মাফিজুলকে খুন করে নির্মাণাধীন একটি বালিকা দাখিল মাদ্রাসার মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়। লাশ উত্তোলনে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। ওই ঘটনায় গত শুক্রবার নিহত মাফিজুলের মা মাহিরন বেগম বাদী হয়ে নাটোরের গুরুদাসপুর থানায় চারজনসহ আজ্ঞাতনামা আরো কজনের নামে মামলা করেন। শুক্রবার রাতেই পুলিশ নিহত মাফিজুলের পরকীয়া প্রেমিকা গৃহবধু তানজিলা, তানজিলার স্বামী আল্ হাবিব (৪০) মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরী পিতা আবু তাহেরকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে।
একই ঘটনায় শনিবার সকালে সিলেটগামী যাত্রীবাহী বাস থেকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা থেকে তানজিলার প্রথম প্রেমিক আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৫ এর একটি দল। আশরাফুল খামার নাচকৈড় মহল্লার বাসিন্দা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছর আগে সম্পত্তির লোভে গৃহবধূ তানজিলা ও তার স্বামী আল্ হাবিব মিলে ছোট ভাই সবুজকে (১০) খুন করে। সে মামলার তানজিলা জামিনে বের হয়ে আশরাফুলের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে। বেশ কবছর পর জামিন বের হন হাবিবও।
তানজিলা একটি বেকারীতে শ্রমিকের কাজ করার সুবাদে নিহত মাফিজুলের সাথে ত্রিভুজ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে হাবিব ও তানজিলার মধ্যে পারিবারিক কলোহ দেখা দেয়। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল গভীর রাতে তানজিলা মাফিজুলকে তার বাবা আবু তাহেরের বাসায় ডেকে নেয়। এ সময় র্পূপরিকল্পিতভাবে মাফিজুলকে তানজিলা, আশরাফুল ও আল হাবিব মিলে খুন করে নির্মাণাধীন মাদ্রাসার মেঝেতে পুঁতে রাখে।
মাফিজুলকে পাওয়া না গেলে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে গুরুদাসপুর থানায় গত বছর ৭ মে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরমধ্যে তানজিলা ও তার স্বামী আল হাবিবের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ দেখা দিলে তানজিলাকে ডিভোর্স দেন হাবিব। তানজিলা হাবিবকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে সে মামলায় আটক হন হাবিব।
"